এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > ৬০ জন তৃণমূল বিধায়ক ২৩ সে মে এর পর যোগ দেবেন বিজেপিতে -তৃণমূল কংগ্রেসের রক্তচাপ বাড়িয়ে বড়সড় দাবি অর্জুন সিং এর

৬০ জন তৃণমূল বিধায়ক ২৩ সে মে এর পর যোগ দেবেন বিজেপিতে -তৃণমূল কংগ্রেসের রক্তচাপ বাড়িয়ে বড়সড় দাবি অর্জুন সিং এর

তৃণমূল কংগ্রেসের রক্তচাপ বাড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একদা ঘনিষ্ঠ সৈনিক অর্জুন সিং এদিন বড়সড় দাবি করলেন। এদিন তিনি দাবি করেন তৃণমূলের ৬০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যার ফলে ভোটের মরসুমে কিছুটা হলেও চাপ বাড়লো রাজ্যের শাসকদলের।

মুকুল রায় এর পর তাঁর হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ট নেতারা একে একে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। আর বার বার মুকুল রায় দাবি করছেন যে ২৩ সে মে এর পর আর তৃণমূল দলটাই আর থাকবে না। অনেক বিধায়ক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এদিকে অর্জুন সিং বিজেপিতে যাবার পর তৃণমূলের ঘর ভাঙছেন। প্রাক্তন নেত্রীর কাচঁ থেকে মুকুল রায়ের মতোই “গদ্দার” আখ্যা পেয়েছেন /কোথাও তাঁকে শুধু “গদ্দার” আবার কোথাও তাঁকে “ছোট গদ্দার “বলেছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী। এদিকে তিনিও বিজেপিতে যোগ দিয়ে দাবি করেছেন যে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে অনেকেই আসতে চাইছেন।

আর এদিন অর্জুন সিং দাবি করলেন ৬০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে ,২৩ সে মে এর পর তারা বিজেপিতে যোগ দেবেন। এদিকে শ্রীরামপুরে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে এসে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন যে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন। ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের পর তাঁরা দল ছাড়বেন। আর এদিন অর্জুন সিং দাবি করলেন ৬০ জন বিধায়ক। ফলে সংখ্যাটা যোগ করলে দাঁড়াচ্ছে ১০০ জন। আর এই নিয়েই রাজনৈতিকমহলের দাবি যদি প্রধানমন্ত্রী বা অর্জুন সিং এর দাবি সত্যি হয় আর এই ১০০ জন বিধায়ক দল ছাড়েন তাহলে তৃণমূল সরকার হয়তো আর টিকবে না।

এদিক এই নিয়ে তৃণমূল দাবি করছে এগুলো সবটাই মনগড়া। কেউ তৃণমূল ছেড়ে যাচ্ছে না। ভোটার নবাজার গ্রাম করতে এইসব রটানো হচ্ছে বিজেপির তরফ থেকে। তাদের দাবি এক এক ব্যাক্তি এক এক সংখ্যা বলছেন কেউ সঠিক সংখ্যা দিতে পারছেন না কেন?কেউ বলছেন ৬০ কেউ বলছেন ৪০। সবটাই মিথ্যায় আর অপপ্রচার। পাল্টা তাদের চ্যালেঞ্জ যে অর্জুন সিং আগে নিজে জিতে দেখাক তার পর তৃণমূলকে নিয়ে কথা বলবে।

তৃণমূলের দাবি যে এইভাবে তৃণমূল নেত্রীকে ঠেকানো যাবে না। ৪২ সে ৪২ টি আসন পেয়েই দিদি প্রধান মন্ত্রী হবেন। আর বিজেপি বাংলা কেন গোটা দেশে মুছে যাবে।

তৃণমূলের চ্যালেঞ্জকে পাল্টা দিয়ে এদিন অর্জুন সিং দাবি করেন যে ব্যারাকপুর লোকসভা আসন থেকে গত ২ বার জয়লাভ করা তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদী এবার দ্বিতীয় স্থানেও থাকবেন না। তিনি তৃতীয় স্থানে চলে যাবেন। আর দ্বিতীয় স্থান পাবে সিপিএম।আর তিনি যে জয়ী হবেন তা নিয়ে ১০০ নয় ২০০ শতাংশ নিশ্চিত বলেওএদিন দাবি করেন অর্জুন সিং।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, তিনি এবারের অর্থাৎ ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়তে চেয়েছিলেন কিন্তু নেত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর উপর আস্থা রাখে। এদিকে অর্জুন সিং ক্ষুন্ন হয়েছেন জেনে নেত্রী স্বয়ং অর্জুন সিং ও দিনেশ ত্রিবেদীকে একসাথে বসিয়ে বৈঠক করেন। এরপর তথাককার মতো তিনি দীনেশ ত্রিবেদীর হয়ে নির্বাচনে দ্বায়িত্ব নেবেন বলে জানালেও পরে দিল্লিতে গিয়ে মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বারগির হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। আর ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে টিকিট পান।

যায় হোক এখন কে জিতবে আর কে হতাশ হবেন তা ২৩ সে মেয়ে ভোটার বাক্স খোলার পরেই বোঝা যাবে। আর তখনই বিধায়কদের বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গও কতটা সত্যি তাও পরিষ্কার হেব। সুতরাং এখন শুধু অপেক্ষা।

প্রসঙ্গত লোকসভা নির্বাচনের টিকিট বণ্টনের সময় ভাটপাড়ার সে সময়ের তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিং ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়াতে চান। কিন্তু তাঁকে সেই টিকিট দেননি তৃণমূল নেত্রী। বিষয়টা যে অর্জুন সিং ভাল চোখে নেননি তা বলাই বাহুল্য। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তৃণমূল ছেড়ে আগেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়। যদিও মুকুল রায়ের সঙ্গে অর্জুন সিংয়ের সম্পর্ক যে ভাল নয় সেকথা ব্যারাকপুর কেন তার বাইরেও অনেকের জানা। তবে এক্ষেত্রে ২ জনে হাত মেলান। বিজেপিতে যোগ দেন অর্জুন সিং।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!