সংক্রমণের ১০০ দিন পূর্তিতে আরও তীব্র করোনার থাবা! লকডাউন নিয়ে অভূতপূর্ব মত ৮৮% দেশবাসীর জাতীয় April 10, 2020 করোনা সংক্রমণের আজ 100 দিন হল। কিন্তু এই 100 দিনে যে ভয়াবহতা সারা বিশ্বজুড়ে করোনা ছড়িয়েছে, তাতে সাধারণ মানুষের আতঙ্ক রীতিমতো বাঁধনছাড়া হয়ে গেছে। চীন থেকে শুরু হয়ে যে মারণ ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, এই মুহূর্তে তার থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করছে সবাই। ভারতে করোনা সংক্রমণ এড়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে গত 24 মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল লকডাউন পরিস্থিতি। মানুষ গৃহবন্দী থেকে করোনাকে দূর করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এখনো। এই লকডাউন শেষ হওয়ার কথা আগামী 14 ই এপ্রিল। কিন্তু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় প্রত্যেকেই এই লকডাউন শেষ না করে আরো কিছুদিন চালিয়ে যাবার মনোভাব রাখছেন বলে জানা গেছে। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, দেশের 88% মানুষ এই মুহূর্তে লকডাউন এর মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে রায় দিয়েছেন। প্রায় 40 হাজার ইউজার অ্যাপের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। ভারতের বেশিরভাগ রাজ্য করোনা সংক্রমণ রোখার চেষ্টায় লকডাউন এর মেয়াদ বাড়ানোর কথাই বলছে। ইতিমধ্যে ওড়িশা সরকার তাঁদের রাজ্যে 30 এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। সমীক্ষায় দেশের 88% মানুষ লকডাউন বলবৎ করার কথা বললেও, আবার তাঁরাই অনলাইনে খাবার অর্ডার করার ব্যাপারেও রায় দিয়েছেন। অন্য একটি সমীক্ষায় আবার দেখা গেছে, দেশের 99% মানুষ চাইছেন করোনা সংক্রান্ত পরীক্ষা সরকারি ল্যাবসহ বেসরকারি ল্যাবেও হোক। দেশে করোনা সংক্রমণের অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে 5000 এবং মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁয়েছে 150। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যা দেখে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আগামী 30 এপ্রিল পর্যন্ত ওড়িশার লকডাউন বজায় রাখার। অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাকালে দেশের বেশিরভাগ রাজ্যই লকডাউন এর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে তবেই সরকারি বিবৃতিতে তিনি জানাবেন লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা। 21 দিনের লকডাউন চলাকালীন অবশ্য সংক্রমণ কমার বদলে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে, বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য আগেই বলেছিলেন, লকডাউন এর ফলে সংক্রমণকে হয়তো কিছুটা আটকানো যাবে, কিন্তু করোনাকে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। কিন্তু ভারতবর্ষের মতন দুর্বল স্বাস্থ্য পরিকাঠামোসম্পন্ন দেশে লকডাউন ছাড়াও যে আর কোন উপায় নেই সংক্রমণ এড়ানোর, সে ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। আপাতত পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে মরণপণ লড়াই করছে ভারতবাসীরা। আপনার মতামত জানান -