এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > অষ্টম শ্রেণীর যোগ্যতার, চুক্তিভিত্তিক ১০ হাজারী বেতনের চাকরিতে আবেদন পোস্ট গ্র্যাজুয়েটদেরও!

অষ্টম শ্রেণীর যোগ্যতার, চুক্তিভিত্তিক ১০ হাজারী বেতনের চাকরিতে আবেদন পোস্ট গ্র্যাজুয়েটদেরও!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট রাজ্যে বেকারত্ব যে হু হু করে বাড়ছে, তার ব্যাপারে বারবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সেই যুক্তি মানা হয়নি। তাদের পাল্টা দাবি ছিল, ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের আমলে বেকারত্বের হার অনেকটাই কমেছে রাজ্যে। কিন্তু বাস্তব যে সম্পূর্ণরূপে আলাদা, তা বন সহায়কের পদে চাকরির আবেদন পত্রে কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল। জানা গেছে, রাজ্যেই বন সহায়ক নেওয়া হবে প্রায় 2 হাজার জন। যার শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি। কিন্তু বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর আবেদন জমা পড়তে শুরু করেছে।

যার মধ্যে রয়েছেন পোস্ট গ্যাজুয়েট ব্যক্তিরাও। জানা গেছে পশ্চিম বর্ধমান থেকেই এই বন সহায়ক পদের আবেদন করেছেন প্রায় 50 হাজারের বেশি ব্যক্তি। যার মধ্যে রয়েছেন স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ ব্যক্তিরা। স্বাভাবিকভাবেই অষ্টম শ্রেণীর যোগ্যতার চাকরিতে কেন এত শিক্ষিত ব্যক্তিরা আবেদন করছেন, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, আসলে এ থেকেই প্রমাণিত হয় রাজ্যে বেকারত্বের হার ঠিক কোন জায়গায় পৌঁছেছে।

তাই বনদপ্তরের মত 10000 টাকা বেতনের চাকরিতেও এখন উচ্চশিক্ষিতদের আবেদন করতে হচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে সালানপুর জেমারি অঞ্চলের বাসিন্দা বাণিজ্য শাখার স্নাতক পরিতোষ অধূর্য্য বলেন, “চাকরির যা বাজার, তাতে এখন আর বাছবিচার করার অবস্থায় নেই।” অন্যদিকে নিত্যানন্দ মাঝি নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে তিন বছর আগে স্নাতক পাস করেছি। এসএসসিতে চাকরি পাইনি। তাই এখানে আবেদন করেছি।” আর উচ্চশিক্ষিতরা বনদপ্তরের মত চাকরিতে আবেদন করায় এখন বিরোধীদের পক্ষ থেকে তীব্র কটাক্ষ করা হচ্ছে সরকারকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বামপন্থী যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “কোনো কাজই ছোট নয়। কিন্তু রাজ্যের বেকারদের জন্য কাজের বাজার কেমন, তা এই পরিসংখ্যানে স্পষ্ট।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যে চাকরি থাকলে এখানকার শিক্ষিতদের ভিন রাজ্যে যেতে হত না। চাকরি যে নেই, তা এই তথ্যেই পরিষ্কার।” তবে বিরোধীদের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি রুপের যাদব।

কিন্তু যে যাই বলুন না কেন, যেভাবে উচ্চশিক্ষিতরা সরকারের এই চাকরির জন্য আবেদন করছেন, তাতে নিঃসন্দেহে গুঞ্জন বাড়ছে সর্বত্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো কাজ ছোট নয় একথা যেমন ঠিক, তেমনই একথাও ঠিক যে, উচ্চশিক্ষিতরা কেন এই সামান্য পদের জন্য চাকরি করবেন! সব মিলিয়ে এখন বন সহায়কের মত চাকরিতে উচ্চশিক্ষিতদের আবেদন নিঃসন্দেহে বিরোধীদের হাতে যেমন অস্ত্র তুলে দিচ্ছে, ঠিক তেমনই চাপে পড়ছে সরকার। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!