এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ৯৯ এর বদলা ৫০! মুখ্যমন্ত্রীকে বড়সড় চ্যালেঞ্জ বিধানসভার বিরোধী দলনেতার! উত্তাল গোটা রাজ্য

৯৯ এর বদলা ৫০! মুখ্যমন্ত্রীকে বড়সড় চ্যালেঞ্জ বিধানসভার বিরোধী দলনেতার! উত্তাল গোটা রাজ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতিপূরণের অর্থ নিয়ে দুর্নীতি এখন প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। প্রায় কমবেশি বিভিন্ন পঞ্চায়েতে দেখা গেছে, নিচুতলার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যেখানে বেশিরভাগ অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে। যার পরবর্তীকালে দলের বিরুদ্ধে ওঠা এই দুর্নীতির অভিযোগ সামাল দিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

তবে সম্প্রতি বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে রাজ্যের শাসক দলকে আরও চাপে ফেলার কৌশল নেওয়া হলে মুখ খোলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই ব্যাপারে বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। যেখানে তিনি বলেন, “দুই একটা জায়গায় ক্ষতিপূরণ নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছে।

কিন্তু তাড়াতাড়ি পাঠাতে গিয়ে গন্ডগোল হয়েছে। তা শুধরে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেউ কেউ এটা নিয়ে ডার্টি পলিটিক্স’ করছেন।” অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথার মধ্যে দিয়ে বোঝাতে চাইছেন যে, কিছু জায়গায় তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভুল হলেও, বিরোধীরা কুৎসা করছে।

অর্থাৎ বিরোধীদের ঘাড়েই এই ব্যাপারে সমস্ত দোষ বুধবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে চাপিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলার পরে এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। 99% মানুষের কাছে ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে গেছে বলে দাবি করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন সেই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেন রাজ্য বিধানসভার কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, “99% ছেড়ে দিন। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি, উনি ওনার পছন্দমত লোক পাঠান আমার সঙ্গে। যে কোনো একটি গ্রামে নিয়ে গিয়ে দেখিয়ে দেব। 50 শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত এখনও টাকা পাননি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দোপাধ্যায় একথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, কিছু জায়গায় দুর্নীতি হলেও তার সরকার তা রোধ করতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান পাল্টা মন্তব্য করে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, দুর্নীতি ক্রমাগতভাবে অব্যাহত রয়েছে।

অর্থ্যাৎ প্রশাসনিক প্রধান এই ব্যাপারে যে মন্তব্যই করুক না কেন, বিরোধীরা যে দুর্নীতি সম্পূর্ণরূপে অবলুপ্ত হয়েছে, তা বিশ্বাস করতে নারাজ, তা আব্দুল মান্নানের এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে এদিন আব্দুল মান্নান আরও দাবি করেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে সবটা করা সম্ভব নয় তা সত্য বলে ধরে নেওয়া হলেও, মুখ্যমন্ত্রী যেন মিথ্যা বিবৃতি না দেন।

স্বাভাবিকভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দলের দুর্নীতি আটকাতে পদক্ষেপ নিচ্ছেন এবং প্রশাসনের অন্দরে দাবি করছেন যে, সরকারের সাহায্য সকলের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, ঠিক তখনই বিরোধী দলনেতা এরকমভাবে পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ায় সেই চ্যালেঞ্জ সরকারপক্ষ আদৌ গ্রহণ করে কিনা, তার দিকে অবশ্যই নজর থাকবে সকলের। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় এখন মান্নান সাহেবের বক্তব্যে রাজ্যের শাসক দল যে আরও সমস্যায় পড়ল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!