এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > 90% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী, ওয়েব কাস্টিং থেকে মাইক্রো অবজার্ভার – সাজো সাজো রব করিমপুরে

90% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী, ওয়েব কাস্টিং থেকে মাইক্রো অবজার্ভার – সাজো সাজো রব করিমপুরে


 

আগামী 25 নভেম্বর রাজ্যের 3 কেন্দ্রের উপনির্বাচন। যার মধ্যে খড়গপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। প্রথম থেকেই এই করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নানা মহলে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। শাসক দলের দখলে থাকা এই কেন্দ্রে এবার সন্ত্রাস হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বিরোধীদের একাংশ।

আর এই পরিস্থিতিতে প্রথম থেকেই এই উপনির্বাচনে তিন বিধানসভা কেন্দ্রের সব বুথেই যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যায়, তার জন্য বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবিও জানানো হয়েছিল। আর এবার অবশেষে করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য আসতে চলেছে 10 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই 5 কোম্পানি বাহিনী এসে গেছে। আর বাকি পাঁচ কোম্পানি আজ রবিবার করিমপুরে প্রবেশ করবে। বস্তুত, বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী 100% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলেও এই করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রায় 90% কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে বলে খবর।

ইতিমধ্যেই কোন বুথে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে, তার পরিকল্পনাও হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মোট 261 টি বুথ রয়েছে। যেখানে সেক্টরের সংখ্যা 22 টি। জানা গেছে, 60 টি বুথ থেকে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক ওয়েব কাস্টিংয়ের ক্যামেরা বুথের অন্তত 7 থেকে 8 ফুট উঁচুতে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন এত সামান্য বুথে ওয়েবক্যাস্টিং করা হচ্ছে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “ওয়েব কাস্টিং ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। কোনো বুথে নেটওয়ার্কের সমস্যা হলে ওয়েব কাস্টিং বন্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বুথের ভোট চিত্র অস্পষ্ট থেকে যাবে কমিশনের কাছে। কত বুথে থেকে ওয়েবক্যাস্টিং হবে, সেই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কমিশন নেবে।” এদিকে করিমপুর উপনির্বাচনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বুথ গুলিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া কিভাবে চলছে, তা দিল্লির অফিস এবং কলকাতার অফিস থেকে সরাসরি কমিশনের আধিকারিকরা দেখবে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে স্পর্শকাতর বুথগুলিতে ভিডিওগ্রাফি, ওয়েব কাস্টিং এবং মাইক্রো অবজারভার দিয়ে নজরদারি রাখার কথাও শোনা যাচ্ছে। আর 90% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করায় এখন কিছুটা হলেও খুশি বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে নদীয়া জেলা উত্তরের বিজেপির সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি মান্যতা পাচ্ছে জেনে ভালো লাগছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী যথাযথভাবে তাদের কাজ করবে, এটাই কাম্য।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে কমিশনের কাছে আমরা সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছিলাম। সেই দাবি মান্যতা পাচ্ছে বলে জানান কংগ্রেসের নৌসাদ আলী। তবে এই ব্যাপারে অন্য সুর শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের গলায়। এদিন এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতা বলেন, “বিদেশ থেকে বাহিনী এনে ভোট করালেও মানুষের মন বদলানো যাবে না।”

সব মিলিয়ে এবার মানুষের মন ভোটবাক্সে ঠিক কোন দিকে যায়, তার জন্য আগামী 28 নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে বলে মত সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!