এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হেভিওয়েট নেতার ওপরে হামলা, বিজেপি গড়ে পরাজিত হতেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! অস্বস্তি তুঙ্গে!

হেভিওয়েট নেতার ওপরে হামলা, বিজেপি গড়ে পরাজিত হতেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! অস্বস্তি তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে সারা রাজ্যে বিজেপি খুব একটা ভালো ফল না করলেও, 77 টি আসনে জয়লাভের মধ্যে একটি আসন খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্র। এখানে জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিশিষ্ট অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। যেখানে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার পরাজিত হয়েছেন। আর ভোটের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর যখন বিজেপির অভ্যন্তরে দোষারোপের পালা শুরু হয়েছে, ঠিক তখনই সেই একই ঘটনা দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে। 213 টি আসন পাওয়ার পরেও এবার খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। যেখানে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদককে মারধরের অভিযোগ উঠল দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে।

 

সূত্রের খবর, সোমবার দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আশিস সেনগুপ্ত। আর সেই সময় বেশ কিছু তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সেখানে ঢুকে তার ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয় এই তৃণমূল নেতাকে। পরবর্তীতে সেই এলাকায় বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনার পরেই আক্রান্ত তৃণমূল নেতা আশিস সেনগুপ্ত মূল অভিযোগের আঙুল তুলেছেন খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দলের পরাজিত প্রার্থী প্রদীপ সরকার এবং তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। যার জেরে যথেষ্ট চাপে পড়ে গেল ঘাসফুল শিবির বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে আশিস সেনগুপ্ত বলেন, “সোমবার আমি যখন পার্টি অফিসে ছিলাম, সেই সময়ে প্রায় শতাধিক যুব নেতা এবং সমর্থক সেখানে ঢুকে আমার ওপর হামলা চালায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাঠি দিয়ে আমাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এই ঘটনার পেছনে প্রদীপ সরকারের অনুগামীরা রয়েছেন। হারের দায় আমার ঘাড়ে চাপিয়ে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে।” যদিও বা এই গোটা ঘটনায় তার কোনো যোগ নেই বলে জানিয়েছেন খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী প্রদীপ সরকার। এদিন তিনি বলেন, “এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। তবে বিষয়টি শুনেছি। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। নির্বাচনে একটি লক্ষ্য নিয়ে এগোলেও শেষ পর্যন্ত সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারার কারণে দলের এক নেতা অপর নেতার ঘাড়ে দোষ চাপাতে শুরু করেছেন। কিন্তু তৃণমূল ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরেও যেভাবে খড়্গপুরে তাদের পরাজয়ের জন্য এক নেতার উপরে হামলা করা হল এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে পরাজিত বিজেপি প্রার্থীর দিকে আঙুল তুললেন সেই আক্রান্ত নেতা, তাতে চাপ ক্রমশ বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরেও যদি এভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে দলীয় নেতারা হামলার শিকার হন, তাহলে তৃণমূল কিভাবে তাদের শৃঙ্খলা অটুট রাখবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!