মেসি-নেইমার-রোনাল্ডোরা কি ফুটবল খেলে? পড়ুন পৃথিবীর সর্বকালের সেরা খেলার কথা অন্যান্য খেলা বিশেষ খবর July 9, 2018 মেসি-নেইমার-রোনাল্ডোরা কি ফুটবল খেলে? ফুটবল খেলতাম আমরা। বাপরে বাপ – খেলা কাকে বলে! খেলার আগে গেম প্ল্যান অনুসারে সবার পজিশন ঠিক হল – তোরা তিনজন ডিফেন্সে, আমরা দুইজন মিডফিল্ডে, তুই ডানে, তুই বামে। আর তুই মেইন স্ট্রাইকার। খেলায় অফসাইড নাই। তুই (মেইন স্ট্রাইকার) ওদের গোলবারে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে গোলকিপারের সাথে গল্প কর। নিচে নামার দরকার নাই। শুধু আমরা বল এগিয়ে দিলে গোল করবি – খবরদার, মিস হওয়া চলবে না। তারপর খেলা শুরু হওয়ার দুই মিনিট পর পজিশন-টজিশন সব ভেঙ্গেচুরে একাকার অবস্থা। ডিফেন্ডার চলে গেছে গোল করতে, স্ট্রাইকার এসে ডিফেন্স সামলাচ্ছে! আরো পরে দেখা গেল মাঠের এক কোণায় একটা জটলা – জটলার মাঝখানে বল – বল যেখানে দুই টিমের গোলকিপার বাদে বাকি সব খেলোয়াড় সেখানে। যে যেদিক থেকে পারতেছে সেদিক থেকে লাথি মারছে – কিন্তু বল বেচারা বের হওয়ার জায়গা পাচ্ছে না! এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে মাঠে কাদা থাকলে আরেকটা দৃশ্য দেখা যায় – জটলার ভিতর লাথালাথি চলছে। এক এক জন বলে অলরেডি তিনবার করে লাথি দিয়েছে, অথচ বল দুই ইঞ্চিও নড়েনি! আরেকজন দৌড়ে এসে স্লিপ, এক স্লিপে দশ হাত গিয়ে বলে মারা। হঠাৎ একজন একহাতে চোখ ধরে চেঁচিয়ে উঠল, ‘ঐ, আমার চোখে কাদা পড়েছে’। তারপর আরেক চোখ খোলা রেখে পাশের পুকুরে ঝুপ করে দিল লাফ। কাদা-জলের ভারে আরেকজনের প্যান্ট কোমর ছেড়ে অভিকর্ষের টানে ভূ-কেন্দ্রের দিকে ছুটছে। খেলার শুরু পাঁচ মিনিট পর গোলকিপারের চিল্লানি শুরু করছে – সে অলরেডি ৫ মিনিট গোলকিপিং করে ফেলেছে, এখন আরেকজনকে গোলকিপার হতে হবে – সে এখন স্ট্রাইকিং-এ খেলবে। এরপর আগের স্ট্রাইকার সরাসরি গোলকিপিং-এ চলে এলো৷ এভাবেই সব প্লেয়ার গোলকিপিং, ডিফেন্স, মিডফিল্ড, স্ট্রাইকিং সব পজিশনে খেলে ফেলে – পুরোই অলরাউন্ডার! অথচ এই মেসি, নেইমার, রোনাল্ডোরা একটা পজিশনেই খেলে! ভালো খেলোয়াড় হতে হলে ,আমাদের মতো সব খানেই খেলার যোগ্যতা থাকা চাই! ** না, এতো ভালো লেখার ক্ষমতা আমাদের নেই, ফেলে আসা শৈশবকে এইভাবে চোখের সামনে ফুটিয়ে তোলার লেখনী শক্তি ঈশ্বর আমাদের দেন নি। অনেক খুঁজেও লেখকের নাম বের করতে পারলাম না, কিন্তু যিনিই লিখে থাকুন অনেক ধন্যবাদ প্রাপ্য, পুরো বাস্তব কাহিনি, যাঁরা ফুটবল খেলেছেন তাঁরা অবশ্যই রিলেট করতে পারবেন। ছোটবেলার সেই হারানো সুন্দর দিনগুলো বিশ্বকাপ জ্বরের মাঝে ফিরে পেলাম তাই আপনাদের সঙ্গেও শেয়ার না করে পারলাম না। আপনার মতামত জানান -