এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অস্বচ্ছতার অভিযোগে স্থগিতাদেশ জারি হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় গ্রূপ ডি পদের নিয়োগে

অস্বচ্ছতার অভিযোগে স্থগিতাদেশ জারি হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় গ্রূপ ডি পদের নিয়োগে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পৌরসভায় বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতার অভিযোগ বিভিন্ন মহল থেকে বহুবার শোনা গেছে। এবার এরকমই একটি অভিযোগ শোনা গেল হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভায় মজদুর বা গ্রূপ- ডি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে। যা শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে গড়ালো। হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এই পদে নিয়োগের ব্যাপারে স্থগিতাদেশ জারি করলেন।

হুগলী-চুঁচুড়া পুরসভার একটি সূত্র থেকে জানানো হয়েছে যে, চলতি বছরের গত ২৩ শে মার্চ এই পুরসভায় মোট ৭৬ জন কর্মপ্রার্থীকে মজদুর বা গ্রূুপ ডি পদে নিয়োগ পত্র দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট পৌরসভা। নব নিযুক্ত এই ব্যাক্তিরা মার্চ মাসের তাদের বেতনও পেয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেই তাঁদের নিয়োগ পদ্ধতিতে অস্বচ্ছতার অভিযোগ দেখিয়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এই নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয়। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে পুরসভার ‘ডিরেক্টর অফ লোকাল বডিজ়’-কে এই নিযোগ বাতিলের স্পষ্ট নির্দেশ দেয়।

পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের এই নির্দেশই মাথায় হাত পড়ে নবনিযুক্ত কর্মীদের। নবনিযুক্ত এই ৭৬ জন কর্মীদের মধ্য থেকে বিদেশচন্দ্র জানা সহ ৭ জন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোটের মামলায় তাদের পক্ষের আইনজীবী একরামুল বাড়ি বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে জানিয়েছেন যে, এই প্রার্থীদের নিয়োগপত্র কেন বাতিল করে দেওয়া হলো, সে ব্যাপারে বক্তব্য রাখবার কোন সুযোগ দেয়া হয়নি এই গ্রূুপ-ডি কর্মীদের।

গত সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন হাইকোর্টে চলা এই মামলার শুনানিতে, সরকার পক্ষের আইনজীবীকে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন যে, যে অভিযোগের কারণে সরকার হুগলী-চুঁচুড়া পুরসভার এই গ্রূুপ ডি প্রার্থীদের নিয়োগ বাতিল করেছে বুধবার আদালতে উপস্থিত থেকে তার প্রকৃত কারণ আদালতকে জানাতে হবে। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি কিংবা তাঁর আইনজীবী কোর্টে এই বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে জানাবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই প্রসঙ্গেই, গত বুধবার সরকার পক্ষের আইনজীবী হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন যে, সংশ্লিষ্ট অভিযোগ ও নিয়োগ বিষয়ক সমস্ত নথি পত্র আদালতে পেশ করার জন্য তাদের কিছুটা সময় দেয়া হোক। অন্যদিকে, হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভা পক্ষের আইনজীবী এ প্রসঙ্গে দাবি করেছেন যে, এই নিয়োগ সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই হয়েছিল নিয়োগে কোন অস্বচ্ছতা ছিলনা। হাইকোর্টের রায়ে পনেরই আগস্ট এর পরে মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে।

অন্যদিকে, গত বুধবার হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন এই পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, ওই গ্রূুপ ডি কর্মীদের নিয়োগ বাতিল হয়ে যাওয়ার পরও কেন তাদের স্যালারি দেয়া হয়েছিল। কেনই বা তাদের স্যালারি একাউন্ট এখনো চালু করে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত পুরসবায় তাদের বিক্ষোভের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন এই পুরসভার বিদায়ী সহকারী চেয়ারম্যান অমিত রায়।

ঘটনাচক্রে, এসময়ে পুরসভায় অনুপস্থিত ছিলেন এই পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, নিয়োগ বাতিল হয়ে যাওয়া গ্রূুপ-ডি কর্মীদের স্যালারি একাউন্ট বন্ধ করে দেবার অনুরোধ জানিয়েছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। অস্থায়ী বিক্ষোভকারী পুরো কর্মীদের মুখপাত্র রাধেশ্যাম শঙ্খবণিক এই অভিযুক্ত নিয়োগ বাতিল করে দিয়ে নতুন করে দ্রুত নিয়োগ পক্রিয়া চালু করার দাবি জানিয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!