এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে করোনা আবহে বড়সড় পদক্ষেপ তৃণমূলের ‘বিদ্রোহী’ হেভিওয়েট নেতার!

সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে করোনা আবহে বড়সড় পদক্ষেপ তৃণমূলের ‘বিদ্রোহী’ হেভিওয়েট নেতার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ফেলে দিয়েছে সকলকে। মানুষ সামাজিক দূরত্ব পালন করতে গিয়ে যেমন মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছেন, ঠিক তেমনই রুজিরুটি নিয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে জনসাধারণের মধ্যে। কিভাবে তারা জীবন চালাবেন, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দিনকে দিন আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। সবথেকে বেশি আশঙ্কার কারণ, এখনও পর্যন্ত এই ভয়াবহ মারুন ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। আর এই পরিস্থিতিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর যাতে দ্রুত করোনা মুক্তি হয়, তার জন্য শিব মহাযজ্ঞ করলেন কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসক ভূষণ সিং।

জানা গেছে, সোমবার কোচবিহারের 4 এবং 5 নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে অবস্থিত গোয়ালপট্টি এলাকায় একটি যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। শ্রাবণ মাসে প্রতিবছর এখানে শিব পুজো হয়। আর এবার করোনা মুক্তির জন্য তৃণমূল নেতা ভূষণ সিংয়ের উদ্যোগে যজ্ঞানুষ্ঠান নয়া মাত্রা পেয়েছে। তবে তৃণমূল নেতা এই যজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও, করোনা ভাইরাসকে নিয়ে বিন্দুমাত্র সচেতনতা তাদের মধ্যে চোখে পড়েনি।

জানা গেছে, মাস্ক ছাড়াই এই যজ্ঞে সামিল হয়েছেন তিনি। যার ফলে তার মধ্যে সচেতনতা না থাকায় পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের ভূষণ সিং বলেন, “শ্রাবণ মাসে হিন্দুরা শিবের আরাধনায় ব্রতী হন। শিবের মাথায় জল ঢালা হয়। আমাদের এলাকায় এই শিব পুজো প্রতিবার হয়‌। এবারের পুজোটা একটু আলাদাভাবে হয়েছে। শিবের কাছে প্রার্থনা করেছি, মানুষ যাতে করোনা থেকে মুক্তি পায় এবং আগামী দিনে মানুষ যাতে একসঙ্গে থাকতে পারে, বাঁচতে পারে।” তবে বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা এই ব্যাপারে তৃণমূলকে কটাক্ষ করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, “বিজেপি আন্তরিকভাবেই পুজো করে। বিজেপি যা করবে, তৃণমূল তার সমালোচনা করবে। তারা বিজেপিকে জুজু ভাবছে। আজকে তারা কেন পুজো করছে, সেই প্রশ্ন তাদেরই করা দরকার।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হওয়ার পর করোনা ভাইরাস বাড়তে শুরু করেছে। তার প্রধান কারণ অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা ময়দানে নেমেছেন, মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করেছেন। মানুষকে সাহায্য করার জন্য ময়দানে নামায় সংক্রমণ কার্যত বাড়তে শুরু করেছে।

যার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের শরীরেও আক্রমণ এনেছে এই করোনা ভাইরাস। ফলে দ্রুত সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। তাই এমতাবস্থায় শাসক থেকে বিরোধী একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করেছিলেন। ফলে রাজনৈতিক বিরোধ তীব্র হয়েছিল। আর এমত পরিস্থিতিতে এবার শিবের কাছে পুজো দিয়ে করোনা থেকে বিদায়ের প্রার্থনা করলেন তৃণমূল নেতা ভূষণ সিং। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা তৃণমূলকে কটাক্ষ করা হল। সব মিলিয়ে এবার করোনা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি দ্বৈরথ চরম আকার ধারণ করল কোচবিহার জেলায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!