এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা ভ্যাক্সিন: শেষ পর্যায়ে চলছে ভারতীয় টিকার পরীক্ষা, যে কোন মুহূর্তে আসতে পারে সুখবর?

করোনা ভ্যাক্সিন: শেষ পর্যায়ে চলছে ভারতীয় টিকার পরীক্ষা, যে কোন মুহূর্তে আসতে পারে সুখবর?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –দেশে করোনার সংক্রমণকে কোনভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। দিনে দিনে তা প্রবল জলস্রোতের মত বেড়েই চলেছে। ইতিপূর্বে দেশে মোট করোনা রোগ সংক্রমিতের সংখ্যা ২৭ লক্ষ পার করেছে। আর করোনায় মোট মৃত পার করেছে ৫৩০০০। এই অবস্থায় চাতকের মতো প্রতিটি ভারতবাসীর অপেক্ষা করছে করোনার প্রতিষেধকের। এই আবহে শোনা গেল আশার আলো।

জানা গেল ভারতে করোনার ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা এবারে শুরু হতে চলেছে। করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ে মানবদেহে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষাটি যদি আশা ব্যাঞ্জক হয়, তবে ভারতবাসীর হাতে দ্রুত এসে পৌঁছাবে করোনার ভ্যাকসিন। মারক ব্যাধি থেকে দূর করা যাবে মানবজাতিকে। গতকাল মঙ্গলবার করোনা ভ্যাকসিন বিষয়ে এমনি আসার বাণী শোনালেন নীতি আয়োগ এর জনৈক সদস্য সেইসঙ্গে ভ্যাকসিন পরিচালনা সংক্রান্ত ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ডক্টর ভি কে পল। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, ” ভারতের তিনটি সংস্থা করোনার টিকা আবিষ্কারের লক্ষ্যে কাজ করছে। যার একটি আজ-কালের মধ্যেই শুরু করে দিচ্ছে মানবদেহে তৃতীয় দফার পরীক্ষা।”

তবে এ প্রসঙ্গে এক্সপার্ট গ্রূপের চেয়ারম্যান একটি বিষয় কিন্তু স্পষ্ট করেননি, যা হলো বর্তমানে কোন সংস্থাটি করোনার ভ্যাকসিন বিষয়ে এই সর্বশেষ ধাপে সাফল্যের সঙ্গে পদার্পণ করতে পেরেছে। তবে ইতিমধ্যে সংবাদসূত্রে জানা যাচ্ছে, অন্ধপ্রদেশের রাজধানী হায়দ্রাবাদে ভারত বায়োটেক সংস্থার নির্মিত করোনা ভ্যাকসিন যার নাম হলো ‘কোভ্যাকসিন’ সেই এই এই সাফল্যের শেষ ধাপে উপনীত হয়েছে। এই ভ্যাকসিন তার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের সমস্ত পরীক্ষা গুলি সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ করেছে। প্রসঙ্গত, এই ভ্যাকসিন এর দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় দেশের মোট ১২ টি শহরে এর পরীক্ষা হয়েছিল। সেখানে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পর শুরু হতে চলেছে এর তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে আবার এই সপ্তাহতেই নিজেদের দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা আরম্ভ করতে চলেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা নির্মিত করোনা ভ্যাকসিন। এই পরীক্ষা করতে চলেছে মহারাষ্ট্রের পুনায় অবস্থিত সিরাম ইনস্টিটিউট। যা দেশের ও সেই সঙ্গে পৃথিবীর বৃহত্তম টিকা নির্মাণকারী সংস্থা। সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মুম্বাইয়ের দুটি গবেষণাগারে হতে চলেছে এই ভাকসিনদুটির গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। এই পরীক্ষার এর জন্য দেশের মোট দশটি শহরকে বেঁচে নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার ভারতের পাঁচটি করোনা প্রতিষেধক উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ভ্যাকসিন পরিচালনা সংক্রান্ত ন্যাশনাল এক্সপার্টদের। তবে করোনা নিবারক এই ৫টি ভাক্সিনগুলির মধ্যে পুনে, হায়দ্রাবাদের দুটি সংস্থার ভ্যাকসিনের এখনো পর্যন্ত মানবদেহে পরীক্ষা সম্পন্ন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। অপর পক্ষে সম্প্রতি বিভিন্ন পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অবস্থানরত ভ্যাকসিন গুলির নির্মাণকারী সংস্থাগুলি হলো ভারত বায়োটেক, সিরাম ইনস্টিটিউট ও জাইডাস ক্যাডিলা।সোমবারের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজির সচিব রেণু স্বরূপ, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চের পক্ষ থেকে ডিজি বলরাম ভার্গব সেইসঙ্গে ডিপার্টমেন্ট অব ফার্মাসিউটিক্যালের সচিব পি ডি বাঘেলা।

প্রসঙ্গত, এই ৫ ০ সংস্থার ভ্যাকসিন যদি পরীক্ষায় সফল হয় ,কবে থেকে তারা শুরু করবে এই ভ্যাকসিন গুলোর উৎপাদন? ভ্যাকসিনের মূল্যই বা কত হবে? এই ভ্যাকসিন গুলির একদি ডোজ গ্রহণ করলেই করোনা নিরাময় হবে? নাকি একাধিক ডোজ গ্রহণ করার প্রয়োজন হবে? ইত্যাদি সমস্ত কিছু নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে চললো বিশেষ আলোচনা পর্ব।

অন্যদিকে, করোনা ভ্যাকসিন এর প্রস্তুতি পর্বের মধ্যেই দেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কমতে শুরু করেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব এর । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ এ বিষয়ে জানালেন যে , গত ১৩ ই আগস্টের দিনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৬৪ হাজারের বেশি দেশবাসী করোনা সংক্রামিত হয়েছিলেন। এখন তার পরিমান কিছুটা কমেছে । যা এখন ৫৫০০০ এর নিকটে অবস্থান করছে। তিনি আশাবাদী যে, দেশে করোনা সংক্রমনের হার কিছুটা কমেছে। সঙ্গে আরও আশার কথা হলো গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে প্রথম ৯লক্ষেরও বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হল। আবার এই ২৪ ঘণ্টাতেই সুস্থতার রেকর্ডও গোড়তে দেখা গেল। সমগ্র দেশে গত ২৪ ঘন্টায় মোট সুস্থ হলেন ৫৭৫৮৪ জন। তবে মাত্র ৫ দিন সময়ের মধ্যে এত ভয়ঙ্কর একটা মহামারীর আগাম ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব, একথাও জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে তিনি সঠিক ভাবে কন্টেনমেন্ট জোন চিহ্নিতকরণ, করোনার পরীক্ষা বাড়ানো, সংক্রমিতদের সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন ।

অন্যদিকে আমাদের আস্বস্ত করে সম্প্রতি দেশের বেশ কিছু রাজ্যে করোনার কারণে মৃত্যুর হার এখন কিছুটা হ্রাসপ্রাপ্ত হয়েছে। সমগ্র দেশে করোনার কারণে মৃত্যু ১.৯২ % হলেও বেশ কিছু রাজ্যে তা ১ % এর নিচে অবস্থান করছে।অন্যদিকে অল্প কিছুদিন আগেই রাশিয়ায় করোনা ভ্যাকসিন এর কথা ঘোষণা করেছিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন। করোনা ভ্যাকসিনের ব্যাপারে রাশিয়ার ভ্যাকসিন নির্মাণকারী সংস্থা গুলির সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ রেখে চলেছে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা। সেই সঙ্গে রাশিয়ায় উৎপাদিত করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক এর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ইতিমধ্যেই দেখতে চলেছে ভারত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!