এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলের সঙ্গে অভিমান করে তবে কি দল ছাড়তে চলেছেন শাসকদলের এই হেভিওয়েট, জানুন বিস্তারিত –

দলের সঙ্গে অভিমান করে তবে কি দল ছাড়তে চলেছেন শাসকদলের এই হেভিওয়েট, জানুন বিস্তারিত –


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টআগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল কংগ্রেস দলটির সাংগঠনিক বিষয়ে বেশ কিছুটা রদবদল ঘটায় দল থেকে মুছে যায় পর্যবেক্ষক পদটি। আর একারণেই তৃণমূল দলে কিছুটা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েন দলের এক সময়ের দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে এখনো তিনি রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ও সেচমন্ত্রী হিসেবে যথারীতি বহাল আছেন।

তবে রাজ্য মন্ত্রিসভার এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শুভেন্দু বর্তমানে নিজের দলের প্রতি যেন কিছুটা বিরাগভাজন হয়ে পড়েছেন ও দলের সঙ্গে নিজের দূরত্ব তৈরি করে ফেলেছেন বলে মনে করছে রাজনীতি মহল। আর একারণেই তিনি যেন কিছুটা সন্দেহের চোখে আছেন নিজের দলের কাছেই। আর তাঁর উপর দলের এই সন্দেহের ইন্ধন দিল দল ব্যতিরেকে তাঁর সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডের ঘনঘটা।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ একজন মন্ত্রী হিসেবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বহুকাল ধরে তিনি নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে নানা জন ও সমাজ সেবামূলক কাজকর্মও চালিয়ে যান। সম্প্রতি শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীরা এইসব অরাজনৈতিক কাজকর্মে আরো বেশি সক্রিয় হয়ে পড়ছেন। আর এই বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করেছেন তার দলের বেশ কিছু সদস্য। প্রসঙ্গত তাঁর নিজের দল পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু সদস্য তাঁর প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত আজ শুক্রবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর তমলুকের সমস্ত স্থান জুড়ে শোভা পাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি আর হোর্ডিং। আর এই ছবি ও হোর্ডিংগুলিতে চোখে পড়ছে শুভেন্দু অধিকারীর নামে একাধিক স্তব-স্তুতি ও গুণকীর্তন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কোন হোর্ডিংয়ে তাঁকে ‘বাংলার মুক্তি সূর্য’, কোনোটাতে ‘সংগ্রামের অপর নাম’, কোনোটায় আবার ‘আন্দোলনের এক নাম’, কোথাও ‘উন্নয়নের কান্ডারি’, কোথাও আবার ‘জনগণমন নায়ক’, কোথাও বা ‘আমাদের আদর্শ’, কোথাও ‘দীনজনের ত্রাতা’,
কোথাও আবার ‘মানবিকতার অপর নাম’ ইত্যাদি নানারূপ সম্মানে তাঁকে সম্মানিত করা হচ্ছে।

আর আশ্চর্যের বিষয় এটিই যে, শুভেন্দু অধিকারী ছবি দেওয়া বা স্তুতিমূলক এই ছবি বা হোর্ডিং শহর জুড়ে থাকলেও কোথাও তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বা তৃণমূল দলের প্রতীক পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না । আর এটা নিয়েই নানারকম গুঞ্জণ আর জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে। এছাড়াও হোর্ডিংগুলিতে সৌজন্যে যাদের নাম লেখ লেখা রয়েছে, তাদের মধ্যেও অনেকেই আবার তমলুক শহর তৃণমূলের বিভিন্ন পদাধিকারী। ফলত দলের শুভেন্দু অধিকারীর এই কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন জেলা তৃণমূলের একটি অংশই।

অন্যদিকে বোর্ডিংয়ের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভাবে মেনে নিলেন নিলেন তমলুক শহর তৃণমূল কোর কমিটির জনৈক সদস্য আনন্দ নায়ক। এ প্রসঙ্গে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘‘শুভেন্দুবাবু দলের নেতা তো বটেই। তাঁকে একজন আদর্শ ব্যক্তি হিসেবেও মানি। রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি সমাজকর্মী হিসেবেও আমরা তাঁর সঙ্গে রয়েছি। তাই তাঁর ছবি-সহ এমন হোর্ডিং দিয়েছি।’’ তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে সম্প্রতি যেভাবে দলে কিছুটা কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী , সেক্ষেত্রে নিজের নিজের উদ্যোগে, নিজের ব্যানার, নিজের হোর্ডিংয়ের ব্যাপারটি কিন্তু সাধারন ব্যাপার বলে মনে করা সমীচীন নয়।

যদিও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী এই ব্যাপারটিকে তেমন কোন আমল নিতে নারাজ।এ প্রসঙ্গে তিনি বক্তব্য রেখেছেন, ‘‘ সব কিছুই নজরে আছে। শুভেন্দু দলেরই লোক। দলের যাঁরা এসব করছেন তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াও অন্য পরিচয় রয়েছে। শুভেন্দুকে ভালবেসে তাঁরা এ সব করছেন। এতে অসুবিধার কী আছে! ’’

অন্যদিকে শুভেন্দু বাবুর এই কর্মকাণ্ড সম্পর্কে শিশির বাবুর সঙ্গে একমত নন তমলুক বিজেপির জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘রাজ্যে তৃণমূল সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি দলে তাঁর গুরুত্ব কমেছে। দলে তাঁর গুরুত্ব বাড়াতে অনুগামীরা এসব করছেন। তৃণমূলের অন্তর্কলহ এখন রাস্তায় নেমে এসেছে। মানুষ সব দেখছে। আমাদের বলার কিছু নেই।’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!