এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > কৈলাশের নিখুঁত অঙ্কে বিজেপির ৩ মহারথী মিলতেই ত্রিফলার আক্রমনে তৃণমূলকে ছিন্নভিন্নের পরিকল্পনা

কৈলাশের নিখুঁত অঙ্কে বিজেপির ৩ মহারথী মিলতেই ত্রিফলার আক্রমনে তৃণমূলকে ছিন্নভিন্নের পরিকল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  আগামী বিধানসভা ভোটের আবহে বিজেপির সংগঠনের অন্তর থেকে বারবার বিভেদ, মতান্তর, বিরোধের অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির অন্দর থেকে সমস্ত বিভেদ -বিসম্বাদ দূর করে বিজেপিকে ঐক্যবদ্ধ করতে রাজ্যে এসেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, জে পি নাড্ডা, অরবিন্দ মেননের মত বেশ কিছু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কলকাতার সল্টলেক স্থিত বাসভবনে একত্রে মিলিত হলেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কৈলাস বিজয়বর্গীয়, জে পি নাড্ডা, অরবিন্দ মেনন ও সেইসঙ্গে মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা সহ বেশকিছু রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী যুদ্ধ ঘোষণা করে বিজেপির সাংগঠনিক পর্যালোচনার প্রথম দিনে বিজেপির তরফ থেকে বেশকিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে দেখা গেল। প্রসঙ্গত বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানালেন, পশ্চিমবঙ্গে ১৩০ টি বিধানসভা আসন নিয়ে গত মাসে দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে । রাজ্যের বাকি আসনগুলো নিয়ে আলোচনা চলবে এই বৈঠক। গতকাল থেকে এই বৈঠক শুরু হয়েছে, আগামী তিন দিন ধরে যা চলবে।

বিজেপির নির্বাচনী বৈঠক রাজ্যে বিজেপির আগামী দিনের কর্মসূচি বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে । এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ” আমরা বেশ কয়েকটি ইস্যুতে আলোচনা করেছি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর আমরা কতটা এগোতে পেরেযি সাংগঠনিকভাবে। কোথায় এগোচ্ছে না তা নিয়ে চর্চা হযেছে। দলের সংগঠন কী করে বাড়ানো যায়, তা নিয়েও কথা হয়েছে। ”

রাজ্য সরকারের প্রতি তীব্র অভিযোগ করে তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বিরোধীদের মর্যাদা বা অধিকার নেই কিন্তু, সমস্ত প্রতিকূলতা স্বত্তেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি নিজের লড়াই জারি রেখেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপি বেশকিছু প্রতিবাদ মূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ।রাস্তায় নেমে শাসকদলের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ জানাবেন তাঁরা, সেইসঙ্গে জনগণের সন্মান, সমর্থন অর্জনের জন্যও তারা বেশকিছু কর্মসূচি পালন করতে চলেছেন। সেইসঙ্গে রাজ্যের রাজ্যপালকে কোনঠাসা করে দেবার রাজ্য সরকারের চেষ্টার বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ জানাবেন । রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ হয়ে তিনি বলেছেন, ” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবর্তনের স্লোগান তুলেছিলেন, কিন্তু কোনও পরিবর্তনই হয়নি। প্রকৃত পরির্তনের বার্তা দেওয়া হবে একযোগে মিছিল থেকে।”

প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপি তেমন সম্প্রসারিত হতে পারেনি। কিন্তু বহু সংখ্যালঘু মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করেন কোন কোন সংখ্যালঘু মানুষ বিজেপি সংগঠন দায়িত্ব গ্রহণেও উৎসুক। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান মানুষের মন থেকে হিংসা, ভয়ের বাতাবরণ দূর করে দেয়া প্রয়োজন। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁকে বলতে শোনা গেল, “সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারে বিরুদ্ধে কিছু বললেই মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে।”

বিশ্বভারতীর প্রাচীর ভাঙার সমস্যা প্রসঙ্গে দিলীপ জানিয়েছেন, ” বিশ্বভারতীয় জমি বাইরের লোকে কব্জা করে নিচ্ছে, তাদের সাহায্য করছে তৃণমূল। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। রাজ্যে বিজেপির ঐক্যবদ্ধ চেহারা শাসক তৃণমূলের সামনে তুলে ধরতে হবে।” প্রসঙ্গত এবার থেকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। আগামী ৪ ঠা সেপ্টেম্বর রাজ্যের সমস্ত বিডিও অফিস ঘেরাও করা হবে বলে বিজেপির তরফ থেকে জানানো হলো।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!