এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > করোনা আবহেও সক্রিয় টিম “দিদিকে বলো”! ১০ মাস আগের সমস্যা সমাধানে সাধারণ মানুষের কাছে ফোন

করোনা আবহেও সক্রিয় টিম “দিদিকে বলো”! ১০ মাস আগের সমস্যা সমাধানে সাধারণ মানুষের কাছে ফোন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস খারাপ ফলাফল করার পর দলের রণনীতিকারের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রশান্ত কিশোরের ওপর। আর দায়িত্ব নেওয়ার পরই সাধারণ মানুষের কাছে তৃণমূলের ভাবমূর্তি ভালো করতে দিদিকে বলো কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেন প্রশান্ত কিশোর। যেখানে একটি নম্বর চালু করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা যদি কোনো অসুবিধায় পড়েন, তাহলে তার অভাব অভিযোগ সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন বলে জানানো হয়। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই “দিদিকে বলো” নম্বরে ফোন করে সঠিকভাবে সুরাহা হয় না বলে অভিযোগ উঠেছিল।

কিন্তু দিদিকে বলোতে যে যথেষ্ট কাজ হচ্ছে, তা এবার প্রমাণ হয়ে গেল। জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও 10 মাস আগে জানানো এলাকার রাস্তার সমস্যার কথা নিয়ে ফোন করা “দিদিকে বলো” নম্বর থেকেই এবার এল পাল্টা ফোন। বস্তুত, আরামবাগের 14 নম্বর ওয়ার্ডের বেনেপুকুর এলাকার বাসিন্দাদের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা রয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে একটি ড্রেন করে দেওয়া হলেও ঢালাই রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় সেখানে একটু বৃষ্টি হলেই কাদার সৃষ্টি হয়। হাঁটতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়েন স্থানীয়রা। তাই দীর্ঘদিন ধরেই সেই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানানো হচ্ছে। কিন্তু তাতেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে “দিদিকে বলো” নম্বরে ফোন করেছিলেন এলাকার মানুষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তার পরেও তেমনভাবে কোনো সাড়া না আসায় তারা কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তবে গত সোমবার হঠাৎই সেই এলাকার যে ব্যক্তি দিদিকে বলো নম্বরে ফোন করেছিলেন, তার ফোনে সেই দপ্তর থেকে পাল্টা ফোন আসে। এলাকার সমস্যা জানতে চাওয়া হয়। আর এতেই কিছুটা হলেও খুশির হাওয়া তৈরি হয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, রাস্তার সমস্যা নিয়ে মানুষ যখন জেরবার, যখন কেউ তাদের দিকে তাকায়নি তখন দিদিকে বলোর দপ্তর থেকে যেভাবে ফোন করে এই ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হল, তাতে শাসক দলের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করছেন এলাকার বাসিন্দারা। এদিন এই প্রসঙ্গে সেই বাসিন্দা বলেন, “এতদিন পর রাস্তার খবর জানতে চেয়ে ফোন আসবে ভাবিনি। ওই অফিস থেকে ফোন করে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছেন, দ্রুত এই রাস্তা মেরামত করা হবে। এনিয়ে তারা পৌরসভার সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।”

এদিকে এই ব্যাপারে পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সন স্বপন নন্দী বলেন, “শহরের প্রায় দু’শটি রাস্তা সংস্কারের জন্য চিহ্নিত হয়েছিল। তার মধ্যে ওই রাস্তাটি আছে। কিন্তু লকডাউনের কারণে ওয়ার্ক অর্ডার হলেও কাজ শেষ করা যায়নি। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত যাতে ওই রাস্তা মেরামত করা যায়।” তবে “দিদিকে বলো” নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে যে অভিযোগই থাকুক না কেন, প্রায় দশ মাস আগে ফোন করা সমস্যা নিয়ে এবার পাল্টা অভিযোগকারীর কাছে ফোন আসায় রীতিমতো খুশি এলাকার বাসিন্দারা। এখন ফোন করে সমস্যা শোনার পর রাস্তার এই সমস্যা কবে সমাধান হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!