এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী কি নিজের দলেই ক্রমশ ব্রাত্য হচ্ছেন? নতুন দুই পদক্ষেপে তীব্র জল্পনা

রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী কি নিজের দলেই ক্রমশ ব্রাত্য হচ্ছেন? নতুন দুই পদক্ষেপে তীব্র জল্পনা

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তিনি যেমন মন্ত্রী, ঠিক তেমনই জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার পাশাপাশি সরকারী পদেও তিনি রয়েছেন। কিন্তু এহেন হেভিওয়েট হেভিওয়েট নেতা শান্তিরাম মাহাতো কি ক্রমশ ব্রাত্য হয়ে যাচ্ছেন দলের অন্দরমহলে? কিছু ঘটনা এমন ইঙ্গিতকেই কার্যত স্পষ্ট করতে শুরু করেছে। একসময় জেলা সভাপতি থাকার জন্য প্রায় সমস্ত যোগদান পর্বে উপস্থিত থাকতে দেখা যেত তাকে। কিন্তু সোমবার একটি দলীয় অনুষ্ঠানে যোগদানের কর্মসূচি থাকলেও, সেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় এই শান্তিরাম মাহাতোকে।

স্বাভাবিকভাবেই জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান কেন পুরুলিয়ার স্টেশন পাড়ায় তৃণমূলের এই বড় রকমের যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকলেন না! তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। দলের একটা অংশ বলছেন, শান্তিরাম মাহাতোকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে অপর অংশের মত, করোনা ভাইরাসের কারণে ও বয়সজনিত কারণে দূরত্ব মেনে চলছেন। তাই এই অনুষ্ঠানে আসা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। কিন্তু সত্যিই কি তাই? নাকি বাস্তবে জেলা সভাপতির পদ থেকে শান্তিরাম মাহাতোকে সরিয়ে দেওয়ার পর তিনি নিজেকে কিছুটা সমস্ত দিক থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন? দলের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে এবার কি তিনি ধীরে ধীরে বসে পড়তে শুরু করেছেন!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক মহলে এই সমস্ত প্রশ্ন এখন ব্যাপকভাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে। জানা যায়, এদিন পুরুলিয়ার স্টেশন পাড়ায় তৃণমূলের দলীয় দপ্তরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন বর্ষীয়ান নেতা বিষ্ণু মেহতা। যেখানে তার হাতে দলের পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূলের নতুন সভাপতি গুরুপদ টুডু। উপস্থিত ছিলেন সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি সহ অন্যান্যরা। কিন্তু এইখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শান্তিরাম মাহাতোকে। স্বাভাবিকভাবেই দলের এত গুরুত্বপূর্ণ যোগদানে তিনি নিজেকে কেন দূরে সরিয়ে রাখলেন, তা নিয়ে স্বাভাবিক নিয়মেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

তবে শান্তিরামবাবুর এই অনুষ্ঠানে যোগদান করা বা না করা নিয়ে পক্ষে এবং বিপক্ষে মত থাকলেও, তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীসমর্থকরা বলছেন, এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করা সম্ভব হবে না দলের পক্ষে। কেননা শান্তিরামবাবু বর্ষিয়ান নেতা। এতদিন তিনি জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ সামনে এসেছেন। ফলে নতুন সভাপতি দায়িত্ব পাওয়ার পর যদি তাকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেন, তাহলে তা দলের পক্ষে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। বাড়তে শুরু করবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যার ফলে এই যোগদান প্রক্রিয়ায় লাভের লাভ কিছুই হবে না।

বরঞ্চ বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে সক্ষম হবে বলে মনে করছে তৃণমূলের একাংশ। সব মিলিয়ে সাংগঠনিক পরিবর্তন করা হলেও যেভাবে পুরুলিয়া জেলায় যোগদান প্রক্রিয়ায় অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল মন্ত্রী তথা চেয়ারম্যান শান্তিরাম মাহাতোকে, তাতে তৃণমূলের অন্দরে নতুন করে বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!