এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সুব্রত মুখার্জির হাত থেকে বড়সড় দায়িত্ব কেড়ে ফিরিয়ে দেওয়া হল মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের হাতে!

সুব্রত মুখার্জির হাত থেকে বড়সড় দায়িত্ব কেড়ে ফিরিয়ে দেওয়া হল মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের হাতে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন পর্যন্ত অভিযোগ উঠত কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ হচ্ছেনা রাজ্যে। যে কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক প্রকল্পের টাকা ফেরতও গেছে বলে জানা যায়। বিরোধীরা এই নিয়ে সমালোচনা চালায় রাজ্যের। কিন্তু এবার একই ছবি উঠে এলো রাজ্য সরকারের গৃহীত প্রকল্পেও। 2013-14 সালে গোটা রাজ্যে P.H.E. এর পক্ষ থেকে একটি স্কিম চালু করা হয়। এই প্রকল্পটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর তুলে দেয় রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলির হাতে।

সেই সূত্রে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর পানীয় জল প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়েছিল রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে। রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট গাইডলা‌ইন রয়েছে। কিন্তু এবার রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের পারিশ্রমিক বিতর্কে গ্রাম পঞ্চায়েতের হাত থেকে পানীয় জল প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ফিরিয়ে নিচ্ছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর। জানা গিয়েছে, অনেক পঞ্চায়েতই রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ঠিকঠাকভাবে পারিশ্রমিক দিচ্ছেনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও P.H.E. দপ্তর দু তিন মাস অন্তর নিয়মিতভাবে টাকা পাঠায় পঞ্চায়েতগুলিকে। জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী পারিশ্রমিক বাবদ যে টাকা P.H.E. এর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়, তার সাথে আরও কিছু টাকা যোগ করে রক্ষণাবেক্ষণের নিযুক্ত কর্মীদের পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা পঞ্চায়েতগুলির। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের বেশিরভাগ পঞ্চায়েত সেদিকে নজর দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা সরাসরি জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র সঙ্গে দেখা করে তাদের বেতন সমস্যার কথা জানান। আর এবার মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলি থেকে সমস্ত স্কিম নিয়ে এবার তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করা হবে।

এর ফলে রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা নিয়মিত পারিশ্রমিক পাবেন বলে জানা গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সবথেকে বেশি অভিযোগ এসেছে P.H.E. প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের। আর এর পরেই পঞ্চায়েত দপ্তরের সঙ্গে পুরো ব্যাপারটি নিয়ে বৈঠক হয় জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের।  বিশেষজ্ঞদের মতে অবশ্য রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলি যেভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করল, তা যথেষ্ট অস্বস্তিজনক। তবে অভিযোগ মেটাতে যেভাবে জনসাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিল, তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে এক্ষেত্রে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জ্জী কিন্তু দশগোলে পিছিয়ে গেলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর কাছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশরা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!