এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এবার রাজ্য সরকারকে বড়সড় নির্দেশিকা আদালতের, জানুন বিস্তারে

উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এবার রাজ্য সরকারকে বড়সড় নির্দেশিকা আদালতের, জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের একটা মতান্তর চলছিল। বহু আগেই টেট পরীক্ষার সমস্ত কার্যবিধি সমাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও গত 7 বছর ধরে উচ্চ প্রাথমিকে কোন নিয়োগ হয়নি। আর এই নিয়ে চূড়ান্ত জলঘোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে, যেখানে মামলা উঠেছে কোর্টে। এই মুহূর্তে রাজ্য জুড়ে চলছে করোনা পরিস্থিতি। আর তার মধ্যেই আপার প্রাইমারি টেট পাস চাকরিপ্রার্থীদের ঘিরে রেখেছে চাকুরী ক্ষেত্রে বঞ্চিত হওয়ার আতঙ্ক। আর তা থেকে মুক্তি পেতেই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।

কোর্টের শুনানির কারণে উচ্চ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগসহ কাউন্সেলিং এর প্রক্রিয়াও থমকে গেছে। আর সেই সূত্রেই এবার কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন। প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য যে মেধা তালিকা প্রকাশ হয় তা নিয়েই আপত্তি জানিয়ে কয়েক হাজার প্রার্থী নিয়োগের ওপর বেশ কয়েকটি মামলা করেন হাইকোর্টে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। এমনকি মেধাতালিকা স্ক্রুটিনিও করছে আদালত বলে জানা গেছে।

তবে এবার স্কুল সার্ভিস কমিশন চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণনের কার্যালয়ে একটি আবেদন জানিয়েছে এ ব্যাপারে বলে খবর। এবং এই আবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত যেসব মামলার শুনানি নিয়মিত হচ্ছেনা, সেগুলি নিয়মিত শুনানি করার ব্যবস্থা করা হোক। অন্যদিকে কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, মেধা তালিকা এবং উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে যে মামলা হয়েছে হাইকোর্টে বিচারপতি ভট্টাচার্যের এজলাসে, সেই ছ’টি মামলার মধ্যে তিনটির অর্ধেক শুনানি হয়েছে। এবং একটি তার মধ্যে অন্তত 16 বার শুনানি হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই অবস্থায় প্রতিটি মামলার দ্রুত শুনানি ও নিষ্পত্তি চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী রীতিমতো কটাক্ষ করে সরকার ও কমিশনকে উল্লেখ করে মন্তব্য করেন, দীর্ঘদিন ধরেই চাকরিপ্রার্থীরা মামলা নিষ্পত্তির জন্য বলে আসছেন। কিন্তু সরকারপক্ষের গড়িমসিতেই মামলার দিন পিছিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, গত চার বছরে উচ্চ প্রাথমিকে আরো 5000 পদ শূন্য হয়েছে।

নিয়োগ আটকে থাকায় করোনা পরিস্থিতি কাটলে কিভাবে পড়াশোনা শুরু হবে তা নিয়ে এখন থেকেই শুরু হয়েছে দুশ্চিন্তা। নিয়োগ সংক্রান্ত কাউন্সেলিং চলে এসএসসির সল্টলেক এর প্রধান কার্যালয়ে। তবে এ ব্যাপারে কমিশনের কর্তারা জানিয়েছেন, হাইকোর্ট যদি সব স্থগিতাদেশ তুলে নিয়োগের অনুমতি দেন, তাহলে তাঁরা করোনা পরিস্থিতিতে বিকল্প উপায়ে কাউন্সেলিং করবেন এবং নিয়োগ পদ্ধতিও চালাবেন। তবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি এ দিন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ আটকে থাকার ফলে প্রার্থীদের পাশাপাশি এবার স্কুল শিক্ষা কমিশনের মধ্যেও দুশ্চিন্তা প্রকাশ পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দুই পক্ষেরই পুরো ব্যাপারটি মিটমাট করে নেওয়া উচিত বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, তার ফলে বাংলার পড়ুয়ারা সমস্যার সম্মুখীন হবে বলে মনে করছেন শিক্ষা মহলের অনেকেই। তবে দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দূর্নীতির ঘোষণা করে আসছে বিরোধীরা। আপাতত পুরো বিষয়টি এই মুহূর্তে হাইকোর্টের দরবারে। তাই সিদ্ধান্তের জন্য দুই পক্ষকেই হাইকোর্টের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে এখন বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!