এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের ‘আঁতুড়ঘড়েই’ মুছে গেল সিপিএম!

পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের ‘আঁতুড়ঘড়েই’ মুছে গেল সিপিএম!

পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রাজ্যের সর্বত্র বিচ্ছিন্নভাবে ঘটে চলেছে রাজনৈতিক সন্ত্রাস হানাহানি। এর মধ্যেই রয়েছে মনোনয়নপত্র পেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জটিলতা। পুলিশ প্রশাসন থেকে সাংবাদিক দুষ্কৃতি হেনস্তার শিকার হচ্ছেন কম বেশি সকলেই। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদীয়ার  কমিউনিস্ট পার্টির জন্মস্থান করিমপুরেরর ধোড়দহে প্রার্থী মনোনয়ন করতে পারেনি দল। নদীয়ায় কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠনের মূল কারিগর ছিলেন স্থানীয় নেতা সমরেন্দ্র সান্যাল।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

তিনি জেলার এক পরিচিত ও অত্যন্ত জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন। তিনি পার্টির জন্য নিজের বসত বাড়িকে দান করেছিলেন। সেই বাড়িতে একসময় দলীয় বহু কর্মসূচী , বৈঠক আয়োজিত হয়েছে । আর বর্তমানে যেমন বেহাল অবস্থা দলীয় সংগঠনের তেমনই অবস্থা পার্টি অফিসের। এলাকায় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যই মোট ১৩ জন। তথ্যটি জানালেন এলাকার স্থানীয় এক সিপিএম কর্মীরা। স্থানীয় ঐ সিপিএম দলীয় কর্মীদের মতে  প্রার্থী মনোনীত করতে না পারার অনেক কারণও রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম সংগঠনের কম সদস্য সংখ্যা। উল্লেখ্য, করিমপুরের দু’নম্বর ব্লকের ধোড়দহ এক নম্বর পঞ্চায়েতে ১৩ টি আসন। যার মধ্য়ে সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে একটিতেও প্রার্থী মনোনীত করতে পারেনি সিপিএম। এই ১৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৬ টি আসনে প্রার্থী মনোনীত করেছে, কংগ্রেস ৫ টি আসনে প্রার্থী মনোনীত করেছে এবং অন্যান্যরা ৩ টি আসনে প্রার্থী মনোনীত করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম ১৩ টি আসনের মধ্যে ১১ টি আসনে জয়লাভ করে। বাকি দুটিতে জিতেছিল কংগ্রেস। কিন্তু মাত্র কয়েক বছরে এলাকার রাজনৈতিক চিত্রটা সর্বাঙ্গীনভাবে বদলে গেছে। যা নির্বাচনের ফলাফলের দিকে স্পষ্টভাবে প্রভাব ফেলবে আশা করা যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!