এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অবাধে দলবদল করা আয়ারাম-গয়ারামেরা আবার কি ফিরতে পারবেন তৃণমূলে? উঠে আসছে নানা প্রশ্ন

অবাধে দলবদল করা আয়ারাম-গয়ারামেরা আবার কি ফিরতে পারবেন তৃণমূলে? উঠে আসছে নানা প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলে দেখা দিয়েছিল তীব্র ভাঙ্গন। একের পর এক নেতা নেত্রী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। অনেকে বলে থাকেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারে, একথা মনে করেই বিজেপিতে নিজেদের আসন পাকা করতেই তাদের এই অবাধে যোগদান চলেছিল। কিন্তু নির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে। পরাজয়ের পর আবার তৃণমূলে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন আয়ারাম-গয়ারাম গোছের বেশ কিছু নেতা-নেত্রী। তবে, তৃণমূল তাঁদের আর নেবে কিনা? সে বিষয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।

অনেক ক্ষেত্রেই বিজেপিতে চলে যাওয়াদের দলে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে দলের বেশ কিছু নেতাকর্মী। অনেকের নামে পোস্টার পড়তেও শুরু করেছে। তাদেরকে পুনরায় তৃণমূলে না ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছে বারে বারে। ভোটের কয়েক মাস আগে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তিনি তৃণমূলে ফেরার চেষ্টাতে আছেন। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁর নামে পোস্টার, তাঁর ছবিতে জুতোর মালা, এমনকি পথ অবরোধ পর্যন্ত করা হয়েছে। এমন অবস্থা চলছে প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে নিয়েও। তাঁদেরকে যেন কোনোভাবেই দলে না ফেরানো হয়, দলের কাছে এই অনুরোধ করেছেন বহু মানুষ।

এ প্রসঙ্গে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব জানালেন যে, এই ধরণের পোস্টার সংস্কৃতি দল কখনই মেনে নেয় না। কেউ যদি চলে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে, তাঁরা দলকে শুধুমাত্র বার্তা দিতে পারেন। এর বেশি দায়িত্ব তাদের দেয়নি দল। আবার, মুকুল রায়ের একসময়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, সব্যসাচী দত্ত লোকসভা ভোটের পর বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। এবার তৃণমূলে আসার চেষ্টায় আছেন তিনি। তবে, তাঁকেও দলে ফেরাতে নারাজ দলের বেশ কিছু নেতাকর্মী। তার বিরুদ্ধেও পোস্টার পড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে সম্প্রতি জল্পনা বাড়ছে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে নিয়ে। ভোটের আগে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, যারা যারা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন সকলের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে তাঁর। গতকাল এ বিষয়ে বৈঠক হয়েছে, আজও বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল থেকে যারা বিজেপিতে এসেছেন, তাদের সহ্য করতে পারছে না দল। তিনি আরো অভিযোগ করেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর যেসব কথাবার্তা হয়েছিল, সে কথা রাখা হয়নি। এমনকি শুভেন্দু অধিকারী এখন আর তাঁর ফোন ধরছেন না।

বিজেপিতে আসা দলবদলুদের প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, দলকে বড় করার জন্য অনেককে তাঁরা দলে নিয়েছিলেন। তাঁদের যোগ্য সম্মান ও পদ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অনেকে জিততে পেরেছেন, কেউ কেউ পারেন নি। যারা হতাশ বোধ করছেন, তাঁরা যদি চান, তবে এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন। আবার, গতকাল এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন যে, দলে কাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে? সেটা ঠিক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এতে তাড়াহুড়োর কোন ব্যাপার নেই। ভোটের সময় যারা দলবদল করে লটারি পাবেন বলে বলে মনে করেছিলেন, ভোটের আগে দলের বিরুদ্ধে যারা কুৎসা করেছিলেন, তাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারটা খুব একটা সহজ হবে না। অনেকে মনে করছেন, বেশ কিছু ব্যক্তিকে দলে ফেরাতে চায় না দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই বিষয়টিতে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!