এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > আবার বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমনের গাণিতিক হার, তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

আবার বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমনের গাণিতিক হার, তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন দেশজুড়ে ৪১,৫০৬ জন, করোনায় মৃত্যু ঘটেছে ৮৯৫ জনের। করোনা আক্রান্ত, করোনাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছে। তবে, এরমধ্যেই আবার বাড়তে শুরু করেছে করোনার আর নম্বর। যার ফলে আবার সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করছেন বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা।

করুনার আর নম্বর বা রিপ্রোডাক্টিভ নম্বর যদি বৃদ্ধি পায়, তবে সংক্রমণ আবার তীব্র আকারে বৃদ্ধি পাবে। গত বছর দেশে যখন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন আর নম্বর ক্রমশ বাড়ছিল। পরে তা কমে আসে। চলতি বছরের শুরুতে আবার এই নম্বর বাড়তে শুরু করেছিল। গত মাসে এই নম্বর অনেকটা কমে আসে। কিন্তু আবার এই নম্বর বাড়তে শুরু করেছে। যার ফলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রিপ্রোডাক্টিভ নম্বর হল এমন একটি নম্বর, যার দ্বারা করোনা সংক্রমনের হার বোঝা যায়। একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি কতজন মানুষকে সংক্রামিত করতে পারে, তার হিসেব এই নম্বর থেকে পাওয়া যায়। যা দেখে সংক্রমণের হার বোঝা যায়। এ প্রসঙ্গে চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সাইন্স এর অধ্যাপক সীতাভ্র সিনহা বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি কত জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারে, তা এই নম্বর দিয়ে বোঝা যায়। সংক্রমণ কতটা ছড়িয়ে পড়ল? কত জনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল? তা এই নম্বর থেকে বোঝা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আইসিএমআরের আর-নট স্কেলের হিসাব ১.৫ থেকে ৪.০ মাত্রার মধ্যে থাকে। মাত্রা যত বাড়তে থাকবে সংক্রমণ তত বাড়বে। যদি, স্কেল ২.৫ এ চলে যায়, তাহলে একজন আক্রান্ত ব্যক্তি সামাজিক দূরত্ব না মানলে, এক মাসের মধ্যে ৪০৬ জন ব্যক্তিকে আক্রান্ত করবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, গত বছর ৪ ঠা মার্চ আর নম্বর দেশে ছিল ১.৮৩। সেসময় থেকে সংক্রমণ শুরু হয়। এ সময়ে উহানে এই নম্বর ছিল ২.১৪, ইতালিতে ছিল ২.৭৩। এরপর দেশে লকডাউন জারি করা হলে আর নম্বর কমে আসতে থাকে। তবে, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর আবার তা বাড়তে থাকে। এই নম্বর যত বাড়বে তত বাড়বে বিপদ।

তিনি আরো জানিয়েছেন, গত ৯ ই মার্চ থেকে ২১ সে এপ্রিল পর্যন্ত দেশে এই নম্বর ছিল ১.৩৭। এই সময় থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। দৈনিক সংক্রমণ লক্ষের গন্ডি অতিক্রম করতে থাকে। এরপর গত ১৫ ই মে থেকে ২৬ সে জুন পর্যন্ত এই নম্বর কমে গিয়ে ০.৭৮ এ দাঁড়িয়েছিল। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৮৮। অর্থাৎ, ১০০ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ৮৮ জনকে এখন আক্রান্ত করছেন। সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে আবার। আগামী কয়েকদিনে স্কেল একের উপর চলে যাবে কিনা? তা তিনি নিশ্চিত করে জানান নি তিনি, তবে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। বেশকিছু রাজ্যে ১ এর বেশি রয়েছে স্কেল। যেমন মহারাষ্ট্র, কেরালা।

গত জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসে যখন এই নম্বর বাড়তে শুরু করেছিল, তখন বারবার সতর্ক করার পরেও সেভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি। এ কারণে দ্রুত নম্বর বৃদ্ধি পায়। শুরু হয় দ্বিতীয় ঢেউ। এবার আবার নম্বর বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা অবাধে জমায়েত, উৎসব, অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করলে সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এর সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত টিকাকরণ এর উপর জোর দেওয়ার কথাও বলেছেন তাঁরা।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!