আবার ভাঙ্গন তৃণমূলে, দল ছাড়লেন জনৈক হেভিওয়েট নেতা, অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য March 10, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসকদল তৃণমূলে ক্রমাগত ভাঙ্গন নির্বাচনের পূর্বেই দলকে ঠেলে দিচ্ছে ব্যাকফুটে। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকে দলের ভাঙ্গন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। দল ছাড়তে শুরু করেছেন একের পর এক হেভিওয়েট। এবার তৃণমূল ছেড়ে দিলেন শিলিগুড়ির হেভিওয়েট নেতা নান্টু পাল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের সদস্য পদ থেকে শুরু করে একাধিক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। গতকাল বিকালে তৃণমূলের জেলা সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠালেন তিনি। তৃনমূল ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক পদ থেকেও ইস্তফা দিলেন তিনি। ছেড়ে দিলেন শিলিগুড়ি বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যানের পদ, তৃণমূলের লিগ্যাল সেলের সদস্যপদ, আবার গতকালই এসজেডিএর ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি, ইস্তফা দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ ক্রীড়া উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকেও। প্রসঙ্গত, গত ৭ ই মার্চ তিনি তৃণমূল ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর দলত্যাগে শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়লো তৃণমূল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গতকাল এক এক করে সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেবার পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তিনি জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ নিয়েই এই জায়গায় তিনি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রেরণা, তবে তিনিও চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি। এরপর তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল তাঁকে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তবে কি তিনি বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন? এর উত্তরে তিনি জানান যে, যোগাযোগ হয়েছে, তবে কোন কিছু চূড়ান্ত হয় নি। নির্দল হয়েই লড়াই করবেন তিনি। গতকাল শিলিগুড়ির বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, তাঁর নামের পোস্টার ও ব্যানার। ৮০ র দশকের ছাত্র রাজনীতির হাত ধরেই রাজনীতির জগতে প্রবেশ করেছিলেন নান্টু পাল। সে সময় তিনি সিপিএমে ছিলেন। ১৯৮৮ সালে সিপিএমের প্রার্থী হয়ে পুরভোটে প্রথম জয়ী হয়েছিলেন তিনি। একটা সময়ে রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর কাছের মানুষ ছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে সিপিএম ছেড়ে চলে যান তৃণমূলে। ২০০৬ সালে তৃণমূলের প্রার্থী শিলিগুড়ি আসনে লড়াই করেছিলেন অশোক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। তবে, কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসেনি। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০০৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে চলে যান তিনি কংগ্রেসে। কংগ্রেসের প্রার্থী পুরসভার ডেপুটি মেয়র হয়েছিলেন তিনি। এরপর আবার তিনি যোগদান করেন তৃণমূলে ২০১১ সালের পর। গত ২০১৫ সালে তাঁর স্ত্রীও তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে পুর নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী করতে পারে, এমন একটা সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে ওমপ্রকাশ মিশ্রকে প্রার্থী করা হলে তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। এরপর তৃণমূল ছেড়ে দিয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আপনার মতামত জানান -