আবার, বড়সড় বিপাকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অপসারিত হলেন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য July 11, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন আগে কন্টাই কোঅপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে। এই পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সরাতে তৎপর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আর এবার স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতিবিজড়িত তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির সভাপতির পদ থেকে অপসারিত করে দেয়া হলো শুভেন্দু অধিকারীকে। গত ২০১২ সাল থেকে এই সমিতির সভাপতির পদে ছিলেন তিনি। গত ৬ ই জুলাই তাঁর পদের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর গতকাল তাঁকে অপসারিত করে দেয়া হলো। শুভেন্দু অধিকারীকে বিপাকে ফেলতেই তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ নেমেছে তৃণমূল, অভিযোগ বিজেপির। দীর্ঘদিন ধরে তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির সভাপতির পদে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে নতুন সভাপতি করা হয়েছে রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে। তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন সমিতির কোষাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা। এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন সহ-সম্পাদক দীপেন্দ্র নারায়ন রায়। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই নতুন কমিটি তৈরি করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই সমিতির সদস্য সংখ্যা ৬৮ জন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির সভাপতির পদ থেকে অপসারণ সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত কোনো বক্তব্য রাখেন নি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ প্রসঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে, এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। শুভেন্দু অধিকারী একজন উন্নয়নের কান্ডারী। কিন্তু তাঁকে এভাবে অপমান করে সরিয়ে দেওয়া হলো। শুভেন্দু অধিকারী হলেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। এই ধরনের কাজ কখনোই কাম্য নয়। বিজেপির অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারীকে বিপাকে ফেলতেই এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবার পর থেকেই তৃণমূলের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে তিনি এখন বিরোধী দলনেতা। তাঁকে এভাবে তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির সভাপতির পদ থেকে অপসারিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বলে দাবি বিশ্লেষকদের। আপনার মতামত জানান -