এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আবার ইডির দপ্তরে তলব তৃণমূল মুখপাত্রের, তীব্র জল্পনা রাজনীতিমহলে

আবার ইডির দপ্তরে তলব তৃণমূল মুখপাত্রের, তীব্র জল্পনা রাজনীতিমহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সারদাকাণ্ডের তদন্তে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে তলব করা হয়েছিল ইডির দপ্তরে। ৬ ঘন্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল। সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এরপর আবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাপানউতোর রাজনীতিমহলে।

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে আবার ৮ ই মার্চ ইডির দপ্তরে তলব করা হলো। জানা যাচ্ছে, সারদাকাণ্ডে বিভিন্ন প্রভাবশালী বিরুদ্ধে তিনি একাধিক সময় বিভিন্ন রকম তথ্য দিয়েছিলেন। এই সমস্ত তথ্য বিচার করেই আজ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আবার কিছুদিন আগে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা করেছিল সিবিআই। সেখানে বিভিন্ন স্থানে কুণাল ঘোষের ইডিকে দেওয়া বয়ানের বিষয়টি ছিল। এই সব কিছু নিয়েই তাঁকে নানা প্রশ্ন করা হয়। তাঁর দ্বারাই প্রভাবশালীদের কাছে আরো দ্রুত পৌঁছে যাবার চেষ্টা গোয়েন্দাদের।

সন্ধ্যায় সিজিও কম্প্লেক্স থেকে বেরোবার পর কুনাল ঘোষ জানালেন যে, তিনি প্রথম দিন থেকেই পূর্ণ সহযোগিতা করে এসেছেন। যখনই তাঁকে ডাকা হয়েছে, তখনই তিনি গেছেন। ভবিষ্যতে এভাবেই তিনি সহযোগিতা করবেন। সারদাকাণ্ডে তিনি অনেক তথ্য, নথিপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি জানান, যে আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, তাদের প্রতি তার কোন অভিযোগ নেই। তাদের তদন্তকার্যে সবরকম সহযোগিতা করবেন। সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন জেলে বসে চিঠি লিখেছিলেন, তার প্রতিলিপি ইডির কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানালেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে কুনাল ঘোষ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া প্রাক্তন তৃণমূলীদের প্রতি জানালেন যে, একজন বা দুজন অন্য দলে গিয়ে যদি মনে করেন যে, তাঁর কাছ থেকে সব কিছু বার করতে চাইছেন, তাহলে তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন যে, প্রত্যেককে তিনি ছাগল বানিয়ে ছাড়বেন। আবার, এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানান, “এই তো সেই কুণাল ঘোষ, বড় বড় দাড়ি হয়েছিল, দিদির পুলিশ মিডিয়ার সামনে আসতে দিচ্ছিল না…এই সেই কুণাল ঘোষ। তিনি কী আর এসব ভুলতে পারবেন?”

অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানালেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে জেলে ছিলেন কুণাল ঘোষ। সেসময় তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে তাঁর দলেরই মুখপাত্র হয়ে উঠেছেন তিনি। সারাদিন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কীর্তন গাইছেন। কত টাকায় বিক্রি হয়েছেন কুনাল ঘোষ? প্রশ্ন করেছেন তিনি।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!