এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আবার কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে গিয়ে এই রাজ্যবাসীদের ৬ হাজার টাকা করে পেতে দিল না রাজ্য সরকার

আবার কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে গিয়ে এই রাজ্যবাসীদের ৬ হাজার টাকা করে পেতে দিল না রাজ্য সরকার

কথায় আছে- রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় আর উলুখাকরার প্রাণ যায়। এও ঠিক তেমনটাই। কেন্দ্র রাজ্যের লড়াই এর মাঝে বলি হতে হয় সাধারণ মানুষকে। বিরোধিতার ফলে জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধা দেখা হয়না। নির্বাচনী প্রতিনিধিরা নিজেদের লড়াইয়ে এতটাই মত্ত হয়ে যায়, যে তাঁরা ভুলে যান সাধারণ মানুষের ভোটের ভিত্তিতেই তাঁরা ক্ষমতায় এসেছেন। পরবর্তীতে সাধারণ মানুষকে অবহেলার পথে ঠেলে দেন তাঁরা।  রাজ্যের আর কেন্দ্রের রাজনৈতিক শিবির আলাদা হওয়ায় দুই যুযুধান রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে প্রতিনিয়ত চলে বিরোধিতা। ফলস্বরূপ রাজ্যবাসী যে তিমিরে থাকে, সেই তিমিরেই বরাবরের জন্য থাকতে হয়।

এবার আরও একবার কেন্দ্র রাজ্যের সংঘাতের ফলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বাসী প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান নিধি যোজনা থেকে বঞ্চিত হলএমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। এর আগেও আরেকটি যোজনা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’। সেই প্রকল্পেও রাজ্য সরকার সামিল হয়নি। এবার প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান নিধি যোজনা -পশ্চিমবঙ্গ এই প্রকল্পের বাইরে থাকা নিয়ে নয়াদিল্লিতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব কিছু প্রকল্প রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি অভিযোগে বলা হয়েছে, গোটা দেশে 5 শতাংশ কৃষককে কোন রকম সুবিধা দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের বঞ্চিত করছে।

প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান নিধি যোজনা কৃষকদের 6000 টাকা করে দেওয়া হয় বছরে তিনটি কিস্তিতে। ইতিমধ্যেই দাবি করা হয়েছে, ছয় হাজার কৃষক এই প্রকল্পের ফলে উপকৃত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ এই প্রকল্পের বাইরে থাকায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের সিদ্ধান্তের জেরে বঞ্চিত হবেন সে রাজ্যের কৃষকরা।” অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান নিধি যোজনায় আধার কার্ড সংযুক্তিকরণ এর সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রকাশ জাভড়েকর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের আগে থেকেই রাজ্যে এই ধরনের অনেকগুলি প্রকল্প চালু আছে। তাই নতুন করে আর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে সামিল হওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। এ বিষয়ে কৃষি অধিকর্তা প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, “আমরা কৃষক বন্ধু প্রকল্পে বছরে 5 হাজার টাকা করে কৃষক ও বর্গাদারদের দিই। কেন্দ্র সরকার নামেই প্রকল্প চালাচ্ছে। গোটা দেশে পাঁচ শতাংশ কৃষককেও এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়নি। অনেক রাজ‍্যই তাই প্রকল্পে সামিল হচ্ছে না। আমরা নিজেরাই প্রকল্প চালাব।” ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, “এটাই প্রথম নয়। এর আগেও কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে মানুষকে বঞ্চিত করেছে রাজ্য সরকার। গরিব কৃষকদের নিয়ে ভাবিত নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে সংঘাত রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে নতুন নয়। এর আগেও ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প থেকে রাজ্য সরকার নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিল। লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে এসে বলে গিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার গরিব মানুষদের বিভিন্ন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করছে। এর উত্তরে পাল্টা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, রাজ্যের জন্য ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প অনেক আগে থেকেই চালু আছে। যে প্রকল্পে রাজ্য সরকারের তরফে 60% টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে নরেন্দ্র মোদী নিজের মুখে এ ধরনের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, যা কখনোই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ‍্যে লড়াই থাকবেই। কিন্তু সে লড়াই এর ফলে যদি সাধারণ মানুষ ভুগতে থাকেন, তাহলে সেটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। কারণ জনসাধারণের ভোটের ওপর দাঁড়িয়েই নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সরকারি আসনে বসেছেন। এই প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার পরবর্তীতে অন্য কোন সিদ্ধান্ত নেয় কিনা সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!