এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আবার কি তৃণমূলে ঠাঁই পাবেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়? লড়াই করবেন কি উপ নির্বাচনে? দোলাচলের মাঝে রাজনৈতিক ভবিষ্যত

আবার কি তৃণমূলে ঠাঁই পাবেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়? লড়াই করবেন কি উপ নির্বাচনে? দোলাচলের মাঝে রাজনৈতিক ভবিষ্যত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে আসার পর জল্পনা তীব্র রয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। বিজেপির বিরুদ্ধে একদিকে যেমন বেসুরো বার্তা দিতে শুরু করেছেন, তেমনি তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। তাঁর দলে প্রত্যাবর্তনের একটা সম্ভাবনা রয়েছে। জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী সম্মতি দিলে তাঁকে দলে ফেরানো হবে, এমনকি উপনির্বাচনে প্রার্থীও করা হতে পারে তাঁকে। কিন্তু দলের বেশ কিছু নেতা-কর্মী তাঁকে দলে ফেরাতে আপত্তি করেছেন। তাই সবকিছু নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপরে।

প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধ্যায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু কথা-বার্তা হয়েছিল। তবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তাদের বৈঠকে রাজনীতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে উত্তর কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। সেসময় ফোন করেছিলেন কুনাল ঘোষকে। তখন কুনাল ঘোষ ছিলেন মানিকতলায়। তারপর তাদের সাক্ষাৎ হয়েছিল। তবে রাজনীতি নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। এই বৈঠক নিয়ে কুনাল ঘোষ নিজেও মুখ খোলেননি।

অনেকে মনে করেছিলেন, এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যাবর্তন নিয়ে। তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি পাওয়া গেলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে ফেরানো হবে। সে ক্ষেত্রে এক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁকে তৃণমূলে ফেরানো হতে পারে। আবার শান্তিপুরে উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করারও সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, একটা সময় নদীয়া জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলেন তিনি। তাঁকে শান্তিপুরে প্রার্থী করে বিজেপিকে একটা বড়সড় ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করতে পারে তৃণমূল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে ফেরানো নিয়ে অনেকেই তীব্র আপত্তি করেছেন। অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ফোন করে তাঁদের অসম্মতি প্রকাশ করেছেন। হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবেন তিনি অন্তত হাওড়ায় যারা তৃণমূল ছেড়ে চলে গেছেন, তাঁদের আর ফিরিয়ে না আনতে। অন্যদিকে, শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তাদের সাক্ষাৎকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষ বলেছেন সৌজন্য সাক্ষাৎ। তাঁরা কি মনে করেন যে, শুধুমাত্র তারাই বুদ্ধিমান, আর বাকিরা গরু-ছাগল?

গত পাঁচ-ছয় মাস তাদের মধ্যে কোন সৌজন্য সাক্ষাৎ দেখা যায়নি। এখন মুকুল রায় দলের ফিরে আসতেই সৌজন্য সাক্ষাতের বন্যা দেখা যাচ্ছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে যদি দলে নেওয়া হয়, তবে তাঁদের কিছু বলার নেই। কারণ সে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী ও উচ্চ নেতৃত্ব। তাদের কিছু বলার নেই। তাদের যে নির্দেশ দেওয়া হবে, তাঁরা সেটাই করবেন। তবে, অনেক কষ্ট করে তাঁরা নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর মূল্য যে শুন্য সেটা তারা দেখিয়ে দিয়েছেন।

ডোমজুড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ৪৩ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন। তারা হলেন সাধারণ কর্মী। তাঁরা শুধু লড়াই করতে জানেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কোন গদ্দারদের দলে নেওয়া হবে না। গদ্দারের প্যারামিটার কত? তা তিনি জানেন না। তিনি জানান, কুনাল ঘোষ হয়তো জানেন না যে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কি বলেছেন? কিন্তু তাঁর কাছে এ বিষয়ে অন্তত দশ-বারোটা ভিডিও আছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!