এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “শুভেন্দু অধিকারীর চ্যাপ্টার পুরোপুরি ক্লোস” বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ

“শুভেন্দু অধিকারীর চ্যাপ্টার পুরোপুরি ক্লোস” বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে আলোচনা না করতে, তাঁকে নিয়ে মন্তব্য বা কটাক্ষ না করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন দলকে। স্পষ্টভাবে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর চ্যাপ্টার পুরোপুরি ক্লোস করে দিতে। তবে, এরপরেও শুভেন্দু অধিকারীকে প্রবল কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিপূর্বে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে বেশ কয়েকবার বিশ্বাসঘাতক, মীরজাফর বলে কটাক্ষ করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, দলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী যে সময় থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেছিলেন, সে সময় থেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে বারবার কটাক্ষ করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তুই তোকারি বলে পর্যন্ত তাকে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। তবে, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে দেওয়ার ঠিক পূর্বে তাঁর সঙ্গে যখন বৈঠক করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোট কুশলী পিকে। সেসময় শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি ‘নিজের ভাই’ ও তাঁর পিতা শিশির অধিকারীকে ‘নিজের পিতা’ বলে সম্মান দিয়েছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে দিতেই তাঁকে বারবার আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল ব্যারাকপুরে তৃণমূলের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে তিনি জানালেন যে, যার নয়ে হয় না, নব্বইতেও তার হয়না। যখন সৌগত রায় প্রমুখরা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, তখন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর (এই মালের) আর কিছু হবার নেই। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বলেই নির্বাচনে জয়লাভ করতে পেরেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০০৬ সালে বিধানসভা কেন্দ্র বদল করার কারণেই জয় এসেছিল শুভেন্দু অধিকারীর ।

এরপর শুভেন্দু অধিকারীকে মীরজাফর বলে কটাক্ষ করে তিনি জানালেন যে, একথা ভুলেই গেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর বিজেপিকেও তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, বিজেপিতে এখন সব নতুন কুড়ি ফুটতে শুরু করেছে। রামনবমীর দিনে বিজেপি যদি দাঙ্গা বাধাতে আসে, তবে বিজেপিকে বুঝে নেবে তৃণমূল। তিনি কটাক্ষ করলেন, হিন্দু ধর্মকে নিজের বাবার সম্পত্তি বলে মনে করে থাকে বিজেপি।

এদিকে, শুভেন্দু অধিকারীও তাঁর একাধিক সভা মঞ্চ থেকে তার পূর্ব দল তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে অবিভক্ত মেদিনীপুরে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি, সমস্ত আসনে পরাজিত করার। তিনি সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, রাজ্যকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দিতে না পারলে এ রাজ্যের কখনোই ভালো হবার নয়। কলকাতায় ও দিল্লিতে এক দলের শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!