আবার মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতির, দিলেন প্রবল হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য January 5, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ফের স্বমহিমায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ সকালে একাধিক কটাক্ষ করলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে । বক্তব্য রাখলেন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি। সেইসাথে, রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানালেন যে, বাম, কংগ্রেসের মতো বিজেপিও বিধানসভায় আনতে পারে অনাস্থা প্রস্তাব। কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনরত ক্ষুব্দ কৃষকেরা। নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। দিল্লি ও দিল্লির নিকটে চলছে তীব্র আন্দোলন। এই কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, সেখানে যারা কৃষক আন্দোলন করছেন, তাঁরা কোন সমস্যার সমাধানের জন্য আন্দোলন করছেন না। তিনি দাবি করেছেন যে, এই আন্দোলন আর কৃষকদের হাতে নেই, এই আন্দোলন দালাল ও মাওবাদীদের হাতে চলে গেছে। তিনি জানালেন যে, এই আন্দোলন যদি সত্যি কৃষকদের আন্দোলন হতো, তবে সারা ভারতে এই আন্দোলনের প্রভাব পড়তো। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গে এই আন্দোলনে কোনো প্রভাব পড়েনি। তিনি কটাক্ষ করেছেন, আন্দোলনের লগ্নে যাদের জন্ম, তাঁরা কলকাতায় থাকেন। ২, ৪ হাজার কৃষক নিয়ে কেন তাঁরা আন্দোলন করতে পারেন নি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন যে, সারা দেশের কৃষকেরা কৃষক সম্মান নিধির অর্থ সাহায্য পেয়েছেন। সেকারণে তাঁরা ভরসা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সম্প্রতি কেন্দ্রের কৃষক সম্মান নিধি রাজ্যে চালু করার সম্মতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, দেরীতে হলেও সৎ বুদ্ধি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর, যা একটি ভালো ব্যাপার। তিনি জানালেন বিদায়ের সময় যদি কৃষকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী কিছু ব্যবস্থা করে দিতে পারেন, তাহলে তাদের আশীর্বাদ পাবেন তিনি। আবার, গতকাল রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে একেবারে লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এভাবে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড করা সম্পর্কে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী কি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পাওয়ার জন্য আদৌ যোগ্য আছেন? তিনি জানালেন নোট বাতিলের সময় রাহুল গান্ধীকে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তুলতে দেখেছিলেন তাঁরা। তিনি জানালেন, এই সমস্ত কিছুই নাটক, মানুষ সবই বুঝতে পারে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে হলে, অনেক ভেবেচিন্তে অধিবেশন ডাকতে। তিনি জানালেন বাম ও কংগ্রেস ইতিপূর্বে অনাস্থা প্রস্তাবের কথা বলেছিল। বিজেপিও অনাস্থা প্রস্তাবের দাবি জানাতে পারে। অনাস্থা প্রস্তাব সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করলেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, অনাস্থা প্রস্তাব আনতে গেলে ৩০ জন বিধায়কের প্রয়োজন হয়। তাঁর প্রশ্ন, এতজন বিধায়ক কি বিজেপির কাছে আছে? তিনি প্রশ্ন করেছেন, কংগ্রেস, সিপিএমের সঙ্গে মিলিত হয়ে কি অনাস্থা প্রস্তাব আনবে বিজেপি? প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই সাংসদ সুনীল মণ্ডল জানিয়েছিলেন যে, ১৬ জন তৃণমূল সাংসদ তৃণমূল ছেড়ে আসতে চলেছেন বিজেপিতে। এরপর বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং জানিয়েছিলেন যে, ২৬ জন তৃণমূল বিধায়ক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসবেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতির অনাস্থা প্রস্তাব আনার হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। আপনার মতামত জানান -