এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > আবার নতুন করে BSNL – এর বেসরকারিকরণ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে! নতুন করে চড়ছে ক্ষোভের পারদ!

আবার নতুন করে BSNL – এর বেসরকারিকরণ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে! নতুন করে চড়ছে ক্ষোভের পারদ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বিএসএনএল কে নিয়ে আবারো তৈরি হচ্ছে নানা রকম জল্পনা নেপথ্যে রয়েছেন বিজেপি সংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়ে। যাকে আগেও বিরূপ মন্তব্যের জন্য দলের মানুষের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল। তবে এবার দলের মানুষের জায়গায় রয়েছে বিএসএনএল কর্মী সংগঠন। কর্নাটকে সোমবার মন্ত্রীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে বিএসএনএল পরিষেবার বিরুদ্ধে তাঁকে অভিযোগ করতে শোনা যায়। আর এর পরেই শুরু হয় চাঞ্চল্য।

উক্ত ভিডিও তে এই প্রাক্তন মন্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে, বিএসএনএল নেটওয়ার্ক এর অবস্থা যথেষ্টই খারাপ, সাধারণ মানুষ তা জানেন। সংস্থার কর্মী অফিসারদের যথেষ্ট আর্থিক সাহায্য করা হলেও এবং সরকারি তরফে সুপরিকাঠামো তৈরি করে দেওয়া হলেও তারা কাজ করতে ইচ্ছুক নন।

নরেন্দ্র মোদির ডিজিটাল ভারতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন সরকারি সংস্থার যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে আদৌ সেই স্বপ্ন সত্যি হবে কিনা সে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ভবিষ্যতে বিএসএনএলের প্রায় ৮৫ হাজার কর্মীকে তিনি বসিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন এবং প্রয়োজনে আরও কর্মীর ওই একই রকম অবস্থা হবে বলে তিনি জানান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর টেলিকম সংস্থাটির কর্মীদের মধ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। তারা জানান মন্ত্রীর এরূপ আচরণ খুবই নিন্দনীয় এবং তাকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও তারা দাবি করেন। যেখানে সারাদেশ ফাইভ-জি আনার কথা ভাবছে সেখানে তাদের ফোরজি পরিষেবা বন্ধ করার জন্য দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশ। কারণ ৪জি পরিষেবা আনতে যে যন্ত্র কেনার প্রয়োজন ছিল তার দরপত্র কেন্দ্রের নির্দেশেই বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবং প্রত্যন্ত এলাকাতে একমাত্র বিএসএনএল ই যে আমজনতার ভরসা সেকথাও কর্মীদের কন্ঠে উঠে এসেছে। কেবলমাত্র প্রকল্পের ভিআরএস অংশটুকুই বাস্তবায়িত হয়েছে বলেই তাদের দাবি। এর সঙ্গে কোনরকম আর্থিক সাহায্য তারা পান নি সে কথাও তারা প্রকাশ করেছেন।

তারা আরো বলেন যে অনেক কর্মীর সেচ্ছাবসর নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় রাখেনি কেন্দ্র। অন্য বেসরকারি সংস্থাকে সুবিধে দিতে সরকারি সংস্থাকে তারাই এরকম পরিস্থিতি এর মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও টুইটারে তাদের প্রতিবাদ যে চলবে, সেই কথাও জানা গেছে। সেক্ষেত্রে প্রাক্তন মন্ত্রী এখন কি করেন সেটাই দেখার বিষয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!