এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > আবার রাজ্যপালের তীব্র নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী! বিধানসভার আগে কার্যত ঘুম উড়ে গেল তৃণমূলের?

আবার রাজ্যপালের তীব্র নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী! বিধানসভার আগে কার্যত ঘুম উড়ে গেল তৃণমূলের?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বারংবার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সম্প্রতি রাজ্যপাল পাহাড়ের পরিস্থিতি বুঝতে সেখানে একমাস যাবত বসবাস শুরু করেন। আর তার দীর্ঘ এক মাস পর সাংবাদিক বৈঠক করে এবার রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে আবারও নতুন করে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। যথারীতি রাজ্যপালের ক্ষোভ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই ছিল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যপাল এবং প্রশাসনের বিরোধিতায় রাজ্যের শাসক দল কিন্তু কার্যত চাপে পড়ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বরাবরই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত লেগেই রয়েছে। রাজ্যের প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযোগ করে থাকেন তিনি। রাজ্যপাল তাঁর পাহাড় সফরের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিতে গিয়ে আবারও রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এমনকি বাংলা যে সবথেকে খারাপ পর্যায়ে চলছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজ্যপাল। সেরকমই বিবৃতি দেন তিনি এদিন। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য। দার্জিলিংয়ের রাজভবনে এই প্রথমবার সাংবাদিক বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। আর সেখানেই প্রশাসনিক ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেন রাজ্যপাল।

তাঁর মতে, বাংলা সংস্কৃতিতে অনেকেই নিজের ঔদ্ধত্য প্রকাশ করছে। আর একথা যে রাজ্যের শাসক দলকে উদ্দেশ্য করেই বলা, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। অন্যদিকে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের কাছেও রাজ্যপাল অনুরোধ করেছেন, সংবিধান মেনে কাজ করার জন্য। রাজনৈতিক দলদাস হয়ে যাতে কেউ কাজ না করেন সে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি বারবার। অন্যদিকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর দাবি করেছেন, একমাস যাবত তিনি পাহাড়ে থেকে বিভিন্ন জটিল বিষয় উন্মোচন করেছেন। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সাংবিধানিক নিয়ম মেনে চলা হচ্ছেনা বলেও তিনি অভিযোগ করেন। পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী শিবিরের পক্ষে সওয়াল করেন এদিন রাজ্যপাল।

প্রসঙ্গত রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের বিরুদ্ধে বরাবরই রাজ্যে তৃণমূল প্রশাসন গেরুয়া শিবিরের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তোলে। যথারীতি সোমবারের সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধীদের পক্ষে কথা বলায় রাজ্য প্রশাসনের সেই অভিযোগ আরও একবার মান্যতা পেল বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন রাজ্যপাল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, বিরোধীদল সমস্ত কাজে বাধা প্রদান করার চেষ্টা চলছে। বিরোধীদের কোনরকম কার্যকলাপে অনুমতি দেওয়া হচ্ছেনা। অনেকটা জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে। পাশাপাশি জিটিএর কাজকর্মেও স্বচ্ছতা না থাকার অভিযোগে এদিন সরব হয়েছেন রাজ্যপাল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি কোচবিহারের দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক মিহির গোস্বামী অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারের আমলে পাহাড়ে কোন রকম উন্নতি হয়নি। একই কথা শোনা গেল রাজ্যপালের গলাতেও। এদিন রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, পাহাড়ের রাস্তা এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলেও তা সমাধানের জন্য বাংলার সরকার কোনদিনই কোন রকম চেষ্টা করেনি। রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের আরো সুসংগঠিত হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে তিনি দাবি করেছেন। অন্যদিকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের রাজ্য সরকারকে পাহাড়ের চা এবং পর্যটন শিল্পকে হাতিয়ার করে রাজ্যের উন্নয়নের পরামর্শ দেন এদিন।

গত সপ্তাহ থেকেই গরু পাচার এবং কয়লা কাণ্ডে গ্রেফতার প্রসঙ্গ নিয়ে একাধিক টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। অন্যদিকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি দুজন অভিযুক্তকে আড়াল করতে করে তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সাংবাদিক বৈঠকে সে বিষয়টিও আরো একবার তুলে ধরেন রাজ্যপাল। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি আরও একবার। বিভিন্ন সময় রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যপালের একের পর এক দ্বন্দ্ব লাগতে দেখা যায়। কিন্তু রাজ্যপাল পাহাড়ে থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে যেভাবে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন, তা থেকে রাজ্যপাল এবং প্রশাসনের দূরত্ব এবং বৈরিতা যে আরও বাড়বে সে ব্যাপারে একমত সবাই।

বিশেষজ্ঞদের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন সামনে আর তার আগে যেভাবে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রশাসনের বিরোধিতা দেখা যাচ্ছে, তা কিন্তু যথেষ্ট বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে রাজ্য রাজনীতিতে। আর সেক্ষেত্রে তৃণমূল সরকার যে কোণঠাসা হয়ে পড়বে, সে ব্যাপারে একমত রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। উত্তরবঙ্গ থেকে রাজ্যপাল যেভাবে প্রশাসনকে কড়া আক্রমণ করলেন এদিন সাংবাদিক বৈঠকে, তা নিয়ে অবশ্য এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে যেভাবে রাজ্যপাল একের পর এক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!