এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নতুন করে লড়াইতে ফিরে আসতে কি কি পদক্ষেপ? বৈঠকে বিজেপি নেতৃত্ব!

নতুন করে লড়াইতে ফিরে আসতে কি কি পদক্ষেপ? বৈঠকে বিজেপি নেতৃত্ব!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকেও রাজ্য জুড়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হয় এবং 200 আসনে জয় আসবে বলা হয়। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর দেখা যায়, দুই অঙ্কেই শেষ করতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য বিজেপি নেতারা কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে। পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরে শুরু হয়ে যায় একের পর এক ভাঙন। ইতিমধ্যেই মুকুল রায় দল ছেড়েছেন। সব মিলিয়ে রাজ্য বিজেপি যে চূড়ান্ত অস্বস্তির মুখে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এই অবস্থায় আজকে দলের কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা রাজ্য বিজেপির সঙ্গে বৈঠক করেন।

এবং সেখানেই আগামীদিনে দলকে নতুন করে লড়াইতে ফিরে আসার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে তাই নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা যাচ্ছে। কার্যত বিধানসভা নির্বাচনে যা হওয়ার হয়েছে, এটা নিয়ে ভাবতে রাজি নন কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। আজকের এই বৈঠকে হাজির ছিলেন অরবিন্দ মেনন, শিবপ্রকাশ এবং অমিত মালব্য। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা শোনা গিয়েছিল রাজ্য বিজেপির অন্যতম পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় থাকবেন। কিন্তু বৈঠকে তিনি আসেননি। অন্যদিকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধে আজকে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় কাট আউট লাগানো হয়। যেখানে তাঁকে গো ব্যাক বলা হয় এবং টিএমসি সেটিং মাস্টার বলে অভিহিত করা হয়।

স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি আরো বাড়িয়েছে। অন্যদিকে আজকের বৈঠকে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে দিলীপ ঘোষ তো ছিলেনই। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের 5 সাধারণ সম্পাদক এবং দুই বিজেপি সহ-সভাপতি। সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপি নেতারা আজকে আশা করেছিলেন হারের কারণ নিয়ে পর্যালোচনা হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা সে দিকে না গিয়ে আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন। এবং ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে পর্যালোচনা হয় বলে জানা গেছে। পাশাপাশি রাজ্য বিজেপি নেতারা দাবি করেন, রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছেন যেসব কর্মীরা, তাঁদের আর্থিক সাহায্য দিতে হবে। আক্রান্ত কর্মীদের চিকিৎসার খরচ বহন করতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং যেসব বিজেপি কর্মীরা আইনি লড়াইয়ের মুখোমুখি হবেন, তাদের মামলা চালানোর খরচ দিতে হবে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকেও এই দাবিতে সায় দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিছুদিন আগেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি কমিটি গঠন হয়েছে যার নেতৃত্বে রয়েছেন সিউড়ি আসনের প্রার্থী বিজেপির জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা গতকাল এই কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন এবং আজকে রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়, রাজ্যের সব সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতিদের নির্বাচন-পরবর্তী আক্রান্ত কর্মীদের যাবতীয় তথ্য জমা দিতে ওই কমিটির কাছে।

পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির তালিকাও চাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য বিজেপি আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিরোধী দল হিসাবে তৃণমূলকে আগাগোড়া চাপে ফেলতে প্রস্তুত হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের মাথায় যে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বই থাকবে সে কথা স্পষ্ট। প্রসঙ্গত, ভোটে হারার পর কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বকেই কিন্তু দায়ী করেছিলেন রাজ্য বিজেপির অধিকাংশ। আপাতত দেখার রাজ্য বিজেপি কিভাবে নিজেদেরকে আবার গুছিয়ে নিতে পারে!

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!