এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আবারও দুর্নীতি নিয়ে হাইকোর্টের ব্যাপক ভর্ৎসনার রাজ্য সরকার, চাপানউতোর তুঙ্গে

আবারও দুর্নীতি নিয়ে হাইকোর্টের ব্যাপক ভর্ৎসনার রাজ্য সরকার, চাপানউতোর তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন যাবৎ দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল সরকারকে কোণঠাসা করে চলেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই দুর্নীতি প্রসঙ্গ নিয়ে ব্যাপকভাবে গেরুয়া শিবির চাপ বাড়িয়ে ছিল শাসক দলের ওপর। কার্যত তৃণমূলের পক্ষ থেকেও মেনে নেওয়া হয়েছে বহু জায়গাতেই দুর্নীতি হয়েছিল। আর এবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হলো রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে, কারণ সেই দুর্নীতি। তবে ইদানীংকালের কোন ঘটনা নয়, বরং 2017 সালে ত্রাণ বিলির ঘটনা নিয়ে এবার আদালতের ক্ষোভের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার।

চার বছর আগে মালদা জেলায় ব্যাপক বন্যা হয়েছিল। সেসময় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ত্রাণ ঘোষণা হয়। কিন্তু সেই ত্রাণ নিয়ে চলে ব্যাপক দুর্নীতি। চার বছর ধরে গোটা বিষয়টি যেভাবে চলেছে, তা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চ, পাশাপাশি ব্যাপক ভর্ৎসনা রাজ্য সরকারকে। জানা যাচ্ছে, 2017 সালের আগস্ট মাসে মালদা জেলায় ব্যাপক বন্যা হয়। কয়েক হাজার মানুষের ঘর ভেঙ্গে গিয়েছিল সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে। সেসময় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়ার কারণে 70 হাজার টাকা দুর্গতদের দেওয়া হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অভিযোগ উঠেছে, এই ত্রাণ বিলি নিয়েই। ব্যাপক দুর্নীতির আভাস পাওয়া গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, 14000 আবেদন জমা পড়েছিল ত্রাণের জন্য। যার মধ্যে প্রায় 7000 আবেদনপত্রে ফোন নাম্বারের জায়গায় একটিই নাম্বার লেখা রয়েছে। এছাড়াও বহু আবেদনপত্রে একটিমাত্র ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার দেওয়া হয়েছে। আর এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। প্রসঙ্গত, মালদার এক  বিডিও 2019 সালেই মেনে নিয়েছিলেন ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে ত্রাণ নিয়ে, একইভাবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত দুর্নীতির বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। যদিও তিনি জানিয়েছেন, দুর্নীতিতে যুক্ত অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তবে আদালত এসব শুনতে চায়নি। হাইকোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে এ বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে। আগামী 5 আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। কার্যত দুর্নীতির খোঁজ পাওয়া সত্ত্বেও কেন রাজ্য সরকার এতদিন দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেনি তাই নিয়ে আদালত আজকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। আপাতত আগামী শুনানিতে এই মামলায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কি বলা হয়, সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!