এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মুকুল তৃণমূলে ফিরতেই, বৈঠকে অনুপস্থিত একাধিক সাংসদে-বিধায়কদের নিয়ে হুলুস্থুল কান্ড বিজেপির অন্দরে!

মুকুল তৃণমূলে ফিরতেই, বৈঠকে অনুপস্থিত একাধিক সাংসদে-বিধায়কদের নিয়ে হুলুস্থুল কান্ড বিজেপির অন্দরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে ক্রমশ তীব্র হয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং অন্তর্কলহ। হারের পর বিভিন্ন সময় রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে নিচু স্তরের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয়েছে। পাশাপাশি সাংগঠনিক বৈঠক এড়িয়ে যেতে শুরু করেছেন বেশ কিছু নেতা, বিধায়ক,সাংসদ। আর তাই নিয়েই গেরুয়া শিবিরে শুরু হয়েছে তীব্র অস্বস্তি। সম্প্রতি হেস্টিংসের বৈঠকেও দেখা গিয়েছিল মুকুল রায় অনুপস্থিত রয়েছেন। যদিও মুকুল রায় জানিয়েছিলেন, তিনি বৈঠকে যাবার ডাক পাননি। অন্যদিকে আবার গেরুয়া শিবিরের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা জানিয়েছিলেন মুকুল রায় ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে বৈঠকে আসেননি।

আর এসবের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য জাগিয়ে আজ মুকুল রায় যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। পাশাপাশি এবার বনগাঁর সাংগঠনিক বৈঠকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে একাধিক নেতা, বিধায়ক এবং সাংসদ অনুপস্থিত ছিলেন। উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন। রাজ্য বিজেপির অন্দরে বিজেপি সভাপতির উপস্থিতিতে কেন নেতারা বৈঠকে যোগ দিচ্ছেননা তা নিয়েও শুরু হয়েছে গুঞ্জন। জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে বনগাঁয় সাংগঠনিক বৈঠক করতে পৌঁছেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু দেখা গিয়েছে সেই বৈঠকেই অনুপস্থিত রয়েছেন বনগাঁ মহকুমার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর এবং বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

একই সাথে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডলকেও এই বৈঠকে দেখা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। একই সাথে বেসুরো প্রসঙ্গটিও মাথাচাড়া দিয়েছে। তবে প্রত্যেক অনুপস্থিত নেতারা বৈঠকে যোগ না দেওয়ার নিজেদের মতন করে কারণ দেখিয়েছেন। যেমন- গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর এবং বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং বনগাঁর উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া যে কারণ দেখিয়েছেন বৈঠকে যোগ না দেওয়ার তা নিয়েই শুরু হয়েছে সমালোচনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি এদের প্রত্যেকে তৃণমূলের সঙ্গে ভেতরে যোগাযোগ রাখছেন কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। তবে সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিজেই। তিনি জানিয়েছেন, বৈঠকে প্রত্যেকেরই আসার কথা ছিল। প্রত্যেককেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু এতজন বিজেপি কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত, তাই তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বেশকিছু বিধায়ক, নেতা বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে অবশ্য রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিতর্ক এড়িয়ে গেলেও প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। কারণ বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সাংসদ সান্তনু ঠাকুরের গলায় কিন্তু বারবার সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সুর দেখা দিয়েছিল।

একসময় শান্তনু ঠাকুরের রাগ কমাতে ছুটে আসতে দেখা গিয়েছিল কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অমিত শাহকে। সেক্ষেত্রে শান্তনু ঠাকুর দিলীপ ঘোষের বৈঠকে অনুপস্থিত হওয়ায় পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সাথে সাথে পরিষ্কার হয়ে গেল রাজ্য বিজেপিতে ভাঙনের সুর স্পষ্ট। এখন দেখার অনুপস্থিত বিধায়ক, সাংসদ, নেতারাও কি এবার মুকুল রায়ের দেখানো পথ অনুসরণ করবেন!

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!