প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাত পোহালেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট। আর প্রথম দফা ভোটের তালিকায় রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নাম। কিন্তু ভোটের আগের দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হলো। শালবনিতে আগামীকাল ভোট। নিরাপত্তায় মোড়া রয়েছে গোটা পশ্চিম মেদিনীপুর। 

যথারীতি শালবনিতেও যথেষ্ট নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে শুক্রবার সকালে শালবনির বাগমারি এলাকা থেকে এক বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হল। জানা গিয়েছে, ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে তাঁকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এলাকায়।

বিগত কয়েক দিন আগেই কোচবিহারের দিনহাটা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বারান্দায় ঝুলন্ত অবস্থায় বিজেপি কর্মীর দেহ পাওয়া যায়। খুন না অন্যকিছু – তাই নিয়ে বিতর্ক এখনো চলছে। তারমধ্যেই নতুন করে শালবনিতে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার রাজনৈতিক উত্তেজনা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। এই খুনের জেরে শালবনির বাগমারি এলাকা তীব্র উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বিজেপি নেতার অভিযোগ- তৃণমূলের দুষ্কৃতিরাই এই হত্যার পেছনে রয়েছে।

সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির বাগমারি গ্রামের বাসিন্দা ওই বিজেপি কর্মীর নাম অনন্ত সোরেন। শুক্রবার সকালে বাড়ির কিছুটা দূরে জঙ্গলে তাঁর দেহ পাওয়া যায় ঝুলন্ত অবস্থায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ তা ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের দাবি, এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তৃণমূল। তবে মৃত যুবককে আগে হুমকি দেওয়া হয়েছিল কিনা তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত তাঁর পরিবারের তরফে কিছু জানা যায়নি। তবে অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব এবং মৃতের পরিবার।

অন্যদিকে তৃণমূল এই হত্যার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। তাঁদের দাবি, পারিবারিক বিবাদের কারণেই এই আত্মহত্যা। হত্যা না আত্মহত্যা- তাই নিয়ে জোর তরজা শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। এলাকায় উত্তেজনা সামাল দিতে আরও কঠোর করা হয়েছে পুলিশি প্রহরা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী এলাকায় টহল দিচ্ছে। একইসাথে এই মৃত্যুর তদন্তও শুরু হয়েছে। তবে এই মৃত্যু যে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক বেশ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে সে কথা বলাই বাহুল্য।