এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আবারও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক উক্তি রাজ্যের মন্ত্রী মহোদয়ার, রাজনৈতিক গুঞ্জন শুরু

আবারও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক উক্তি রাজ্যের মন্ত্রী মহোদয়ার, রাজনৈতিক গুঞ্জন শুরু

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক আঙিনায় চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের মতভেদ লক্ষ্য করা গিয়েছিল আগেই। বেশ কিছুদিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ঘটে যাওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র হেনস্তার ঘটনায় রাজ্যপাল চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শাসকদলের প্রতি। শুধু তাই নয়, এরপর দুর্গাপূজাকে ঘিরে যে কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানেও রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর দ্বন্দ প্রকাশ্যে আসে। এদিন আবারও রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে হেলিকপ্টার নিয়ে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে।

সূত্রের খবর, ফারাক্কার এস এন এইচ মহাবিদ্যালয়ের রজত জয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে রাজ্যপাল সস্ত্রীক আমন্ত্রণ পান। মুর্শিদাবাদে যাওয়ার জন্যই রাজ্যপাল রাজ্যের কাছে হেলিকপ্টারের আবেদন করেন। কিন্তু রাজ্যপালের সেই আর্জি খারিজ করে দেয় রাজ্য সরকার বলে দাবি করা হয়েছে প্রেস বিবৃতিতে। আর যার ফলে পুরনো দ্বন্দ্ব আবার সামনে চলে এসেছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাজ্যপালের বক্তব্যের বিরোধিতায় হামেশাই রাজ্যের প্রতিনিধিরা মুখ খোলেন। এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘উনি আইনজীবী ছিলেন। তাই ক্লায়েন্টকে পরামর্শ দেওয়া স্বভাব যায়নি। রাজ্য সরকার ওনার ক্লায়েন্ট নয়। রাজ্য সরকারকে ওনাকে কোন পরামর্শ দিতে হবে না।’

রাজ্যপালের সাথে রাজ্য সরকারের বিবাদ এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের বিরোধিতা করতে দেখা গেছে রাজ্যপালকে। দীপাবলীর দিন মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সস্ত্রীক তাঁর বাড়িতে রাজ্যপাল যাওয়ার পর রাজনৈতিক মহল থেকে মনে করা হয়েছিল, এবার বুঝি দ্বন্দের অবসান হতে চলেছে কিন্তু পরবর্তীকালে সে কথা ভুল প্রমাণ হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর রাজ্য সরকারের উদ্দেশে একটি টুইট করেছিলেন। যাতে তিনি লিখেছিলেন, ‘রাজ্যপাল ও আচার্য, দুই ক্ষেত্রেই সংবিধান ও বিধি মেনেই পদক্ষেপ করি আমি।’ তিনি আরো লিখেছিলেন, ‘আচার্য-সরকারের মধ্যে বিগ বস হওয়ার লড়াই চলছে। আচার্য হিসেবে লড়াই চাইনা। ক্যাম্পাসের পরিবেশ ঠিক রাখতে হবে। রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছি। কেন্দ্রের সাহায্য লাগলে জানাতে বলেছি।’

আর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘মানুষের রায়ে সরকার চালান মুখ্যমন্ত্রী। কার চিঠির উত্তর দেবেন, কার দেবেন না, তা ঠিক করবেন মুখ্যমন্ত্রীই। শিক্ষা নিয়ে বাংলায় কোন রাজনীতি হয় না।’ এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য হেলিকপ্টার ইস্যুতে বলেন, ‘হেলিকপ্টারের খরচ বহন করেন রাজ্যের মানুষ। তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠে রাজনীতির বাজারে বেরিয়ে পড়বেন, তা হয়না। তাঁদের জানাতে হবে কী কারণে হেলিকপ্টার প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন বুলবুল কবলিত এলাকা পরিদর্শনে।’

হেলিকপ্টার চেয়ে না পাওয়ার রাজভবনের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, রাজ্যপালের ফারাক্কা থেকে বীরভূম সার্কিট হাউসে যাওয়ার কথা ছিল এবং সেখান থেকে বর্ধমানে সার্কিট হাউস হয়ে রাত দশটায় রাজভবনে ফেরার কথা। তাই ভোর পাঁচটায় বেরোনোর জন্য হেলিকপ্টার চাওয়া হয়েছিল‌। এতোখানি রাস্তা একদিনে সড়ক পথে যাতায়াত করাটা মুশকিল হলেও রাজ্যপালকে শেষ পর্যন্ত সড়ক পথেই ফারাক্কা যেতে হয়।

রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে যেভাবে নিত্যদিন সংঘর্ষ বেড়ে চলেছে, তাতে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রশাসনকে স্বস্তিতে থাকতে দেবেন না। কখনো কটাক্ষ, কখনো মাঠে নেমে সরাসরি বিরোধিতা, আবার কখনো সৌজন্য দেখাচ্ছেন রাজ‍্যপাল। রাজ্যপালের এহেন ভূমিকায় তৃণমূল দিশা পাচ্ছে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর এবার সরাসরি রাজ্যপালের বিরোধিতা করতে আসরে নামতে চলেছে তৃণমূল সরকার। এ বিষয়ে নজর রাখবে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!