এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আবারও তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষে তেতে উঠল এলাকা, দুই শিবিরের চাপানউতোর অব্যাহত

আবারও তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষে তেতে উঠল এলাকা, দুই শিবিরের চাপানউতোর অব্যাহত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোটের দিনক্ষণ যত কাছে আসছে, ততই রাজ্য জুড়ে বেড়ে চলেছে রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা। ইতিমধ্যেই অবশ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা হাতে নিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, এবারের নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ। সেই দিকেই নজর রেখে তাঁরা হিংসা বন্ধের দিকে নজর দিয়েছে। কিন্তু কমিশনের নজর এড়িয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজনৈতিক সংঘাতের খবর সামনে আসছে। যেমন- এবার এলো বর্ধমান থেকে। বর্ধমানের ভোট হতে এখনও প্রায় একমাস বাকি। কিন্তু তার আগেই দফায় দফায় চলছে বেশ কিছু অঞ্চলে রাজনৈতিক সংঘর্ষ। মঙ্গলবার রাতে বর্ধমানের পালিতপুর অঞ্চলে যুযুধান দুই রাজনৈতিক দল বিজেপি ও তৃণমূল সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়।

এই সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছেন তৃণমূলের দুই কর্মী বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বর্ধমানের পালিতপুর গ্রামের একটি হোটেলকে ঘিরে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। তবে এই ঝামেলা ঘিরে তৃণমূল এবং বিজেপি- দুই পক্ষের দুই রকম বয়ান পাওয়া যাচ্ছে। তৃণমূলের দাবি, এলাকায় তাঁদের সমর্থক কানাই খাঁয়ের একটি হোটেলে ভাঙচুর করা হয় এবং লুটপাট করা হয়। প্রতিবাদ করলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। সশস্ত্র বিজেপি সমর্থকরা  অস্ত্রের প্রয়োগ করে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের ওপর। বিজেপির উপর্যুপরি আক্রমণে তৃণমূলের দুজন জখম হয়ে হাসপাতালে। সূত্রের খবর, আহত দুই তৃণমূল কর্মী শেখ ডালিম এবং শেখ জাহাঙ্গীর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, তাঁদের মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে। এই মুহূর্তে তাঁরা দুজনেই হাসপাতালে রয়েছেন। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই এলাকায় ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সৌভিক পাত্র, বর্ধমান থানার আইসি পিন্টু দাসসহ বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় পৌঁছায়। অন্যদিকে বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যামল রায় তৃণমূলের দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। বরং ঠিক এর উল্টো দাবি জানিয়ে বলেছেন, ঘটনাটি তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ নয়, বরং সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তিনি দাবি করেন, যে হোটেলে ভাঙচুর হয়েছে সেই হোটেলে মদ এবং নেশার জিনিস বিক্রি হতো। মানুষ ক্ষেপে গিয়ে হোটেলের ওপর চড়াও হয়েছে।

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, যাদের তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক বলা হচ্ছে তাঁরা ঐ গ্রামের লোক নন। তিনি আরও দাবি করেন, পালিতপুর এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোন অস্তিত্ব নেই। বরং বেশিরভাগ মানুষ বিজেপি অনুগামী। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর বেড়েছে। একই সাথে এলাকা রীতিমতো থমথমে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার দায়ে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। প্রথম দফার ভোট আসতেই যেভাবে রাজ্যজুড়ে একের পর এক রাজনৈতিক সংঘাত দেখা যাচ্ছে, তাতে অষ্টম দফার নির্বাচন যখন হবে সে সময় পরিস্থিতি যে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে, সে ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত হচ্ছেন ওয়াকিবহাল মহলের অনেকেই।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!