এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আবাস যোজনার দুর্নীতিতে নাম জড়াচ্ছে একের পর এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার! অস্বস্তি শাসকদলে?

আবাস যোজনার দুর্নীতিতে নাম জড়াচ্ছে একের পর এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার! অস্বস্তি শাসকদলে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন থেকে তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের তালিকা তৈরি করে তাদের সতর্ক করতে শুরু করেছে। অর্থাৎ বিরোধীরা যাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে না পারে, তার জন্য সদা সতর্ক শাসক দল। কিন্তু শাসক দলের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবে তৃণমূলের অনেক নেতা এখনও পর্যন্ত দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।

এবার মালদহে হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের তালিকায় নাম থাকতে দেখা গেল পেশায় শিক্ষক তথা অঞ্চল কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ সাহা এবং তার সহধর্মিণীর। অন্যদিকে এই তালিকায় সুতপা সাহা নামে এক মহিলার নাম রয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু তার স্বামী কলকাতা পুলিশের একজন কর্মী। ফলে তালিকায় দুইবার সুতপাদেবীর নাম থাকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

আর তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নাম আবাস যোজনার তালিকায় থাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। সূত্রের খবর এই গোটা ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার এলাকায় মিছিল এবং বিক্ষোভ সংগঠিত হয়। সাধারণ বাসিন্দাদের একাংশ প্রশ্ন তোলেন, কেন বেছে বেছে তৃণমূল নেতা এবং তাদের ঘনিষ্ঠদের নাম আবাস যোজনা তালিকায় উঠল! কেন সেখানে বাদ থাকলেন প্রকৃত উপভোক্তারা? বাসিন্দাদের একাংশ বিক্ষোভ সংগঠিত করার সাথে সাথেই পুলিশের পক্ষ থেকে গোটা পরিস্থিতি সামলানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

একাংশ বলছেন, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের দলকে শুদ্ধিকরণ করতে বারবার দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত তৈরির বার্তা দিচ্ছেন, সেখানে তৃণমূলের নেতারা যদি সাধারন মানুষদের বদলে নিজেদের নাম বাড়ি তৈরীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে শুরু করেন, তাহলে তৃণমূল নিঃসন্দেহে চাপে পড়বে। শুধু তাই নয়, এই গোটা ঘটনায় সাধারণের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীরা তাদের হাতে তৃণমূল বিরোধিতার নতুন রাজনৈতিক অস্ত্র পেয়ে যাবে। যার প্রভাব পড়বে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বারবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি করা হলেও কেন এইরকম ভাবে দুর্নীতির ঘটনা ঘটল! এদিন এই প্রসঙ্গে বিক্ষোভরত সুলেখা দাস, আরতী দাস বলেন, “আমাদের ঘরদোর বেহালা। ঠিকমত খেতে পাচ্ছি না। অথচ আমাদের নাম তালিকায় নেই। বাধ্য হয়ে পথে নামতে হয়েছে।” কেন তিনি নিজের নাম তালিকায় ঢুকিয়ে নিলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ধীরেন্দ্র নাথ সাহা বলেন, “আমার নাম যে তালিকা রয়েছে, তা জানতাম না। কেউ ভালোবেসে ঢুকিয়ে দিয়েছে মনে হচ্ছে।” তবে গোটা পরিস্থিতিতে যে তৃণমূল কংগ্রেস অত্যন্ত চাপে পড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিন এই প্রসঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিতে দেখা গেছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। এদিন এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, “ওখানে আবাস যোজনার অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনকে তদন্তের কথা বলেছি। যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে‌। দল কখনও দুর্নীতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে না।” সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দুর্নীতি বন্ধ করতে তৃণমূল নেতৃত্বের কড়া বার্তা কতটা কাজে দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!