প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে গতকাল হাওড়া জেলার বাগনান এলাকায় বিস্ফোরক বক্তব্য রেখেছেন আব্বাস সিদ্দিকী। তাঁর এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বাংলায় দাঙ্গা বাধানোর ইন্ধন দিয়েছেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, তিনি এমনও বলেছেন যে, গ্রামে গ্রামে ইউনিট খুলে, কয়েকজন মিলে বিক্ষিপ্তভাবে দাঙ্গা না করে, সবাই মিলে একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে। তাঁর এই আপত্তিকর বক্তব্য রাখার পরই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারীর দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলো বাংলা পক্ষ।

আব্বাস সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে বাংলা পক্ষের কাছ থেকে। আর এই চিঠির একটি কপি পাঠানো হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া এই চিঠিতে জানানো হয়েছে যে, দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গ এটা থেকে এখনো সুরক্ষিত আছে।

পশ্চিমবঙ্গে থাকা বাঙালিরা নিজেদের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র বজায় রাখতে সমর্থ হয়েছেন। জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে তা বজায় রয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিষয়কে টেনে এনে এই বাংলার মাটিকে অশান্ত করে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, রাজনীতিবিদ ও ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী আক্রমণাত্মক বক্তব্য রেখেছেন।

চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে যে, আব্বাস সিদ্দিকীর মত মৌলবাদীরা ধর্মীয় মৌলবাদের ভিতকে শক্ত করছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে যে, অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। কেউ যদি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেন, তবে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, এমনই দাবি করা হয়েছে চিঠিতে।

বাংলা পক্ষের এই পদক্ষেপের পর পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী জানিয়েছেন যে, প্রকৃত ধার্মিক কখনোই অন্যের ধর্মকে ঘৃণা করে না। প্রকৃত ধর্ম কখনোই অধর্মের শিক্ষা দেয় না, সমস্ত অপকর্মকে ত্যাগ করার শিক্ষা দেয়। সমস্ত ধর্মই সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয় বলে, তিনি বিশ্বাস করেন। যে বা যারা বাংলাদেশে এই কাজ করেছে, তাদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা জানাচ্ছেন যে, মুখে যাই বলুন না কেন আব্বাস সিদ্দিকী? বাংলা পক্ষের এই কঠোর পদক্ষেপ যথেষ্ট বিপাকে ফেলে দিয়েছে তাঁকে।