এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > আব্বাসের দলকে সমর্থন করা নিয়ে সিপিএমের অন্দরেই মতভেদ, জল্পনা তুঙ্গে

আব্বাসের দলকে সমর্থন করা নিয়ে সিপিএমের অন্দরেই মতভেদ, জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বামেরা জোট বেঁধেছিল কংগ্রেসের সাথে। সেই জোট কিছুদূর এগোতেই সেই জোটে এসে সামিল হোন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। তৈরি হয় মহাজোট। যদিও এই মহাজোটকে ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক চলছে চারিদিকে। বিশেষ করে ব্রিগেডের সভার পর সেই বিতর্ক আরও মাথাচাড়া দিয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও একুশের বিধানসভার নির্বাচনে জয় ফিরিয়ে আনতে মরিয়া বাম কংগ্রেস শিবির। তবে এই সংযুক্ত মোর্চাকে বামেদের অন্যান্য শরিকদের মধ্যে অনেকেই কিন্তু মেনে নিতে পারছে না। যেমন সিপিআইএম-লিবারেশন।

ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে জোটের অন্দরে তাঁরা মোটেই মানতে পারছে না এবং সে কথা জানিয়ে সোমবার সিপিআইএমেলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বার্তা দিলেন, বিজেপিকে আটকাতে যেকোনোভাবে যেন মানুষ অন্য যেকোন রাজনৈতিক দলকে যেন সমর্থন জানায় এইবার। আর এই নিয়েই আগামী দিনে প্রচারও চালাবে শিলিগুড়ির বুকে সিপিআইএমএল বলে জানা গেছে। রাজ্যে মোট 12 টি আসনে সিপিআইএমএল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে। পাশাপাশি গত বিধানসভা নির্বাচনের জয়ী বাম প্রার্থীকেও সমর্থন জানিয়েছে সিপিআইএমএল। তবে এই 12 টি আসনের বাইরে সাধারণ মানুষ যদি সংযুক্ত মোর্চা বা তৃণমূলকে সমর্থন করে, তাতে কোনো আপত্তি নেই তাঁদের।

অন্যদিকে আব্বাস সিদ্দিকীকে সমর্থনের আপত্তি হিসাবে এদিন দীপঙ্কর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আব্বাস সিদ্দিকী বেশ কিছু ভিডিওতে যে দৃষ্টিভঙ্গী দেখা গেছে তাতে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি যে মোটেই উদার, আধুনিক এবং প্রগতিশীল নয় তা বোঝা যায়। তাই নতুন অপরীক্ষিত রাজনৈতিক দলকে মেনে নিতে নারাজ সিপিআইএমএল। পাশাপাশি এতগুলো আসন কেন যে আব্বাসের দলকে ছেড়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দীপঙ্কর বাবু। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিজেপিকে আটকাতে এই মুহূর্তে রাজ্যের অন্যতম শক্তিশালী দল তৃণমূল কংগ্রেস। সে  জায়গায় সংযুক্ত মোর্চার তৃণমূল কিংবা বিজেপিকে হারিয়ে রাজ্য দখল করা মোটেই সম্ভব নয় বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেক্ষেত্রে বিজেপি যাতে ক্ষমতায় কোনমতেই না আসে, সেজন্য পরোক্ষভাবে মানুষকে বলা হবে তৃণমূল অথবা সংযুক্ত মোর্চাকে বেছে নিতে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের তিনটি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে সিপিআইএমএল। ফাঁসিদেওয়া খরিবাড়ি থেকে সুমতি এক্কা, ময়নাগুড়ি থেকে উদয়শঙ্কর অধিকারী, মোথাবাড়ি থেকে ইব্রাহিম শেখ ও খড়গ্রামে টুলুবালা দাস লড়বেন। এছাড়া কৃষ্ণনগর দক্ষিণ থেকেসন্তু ভট্টাচার্য, নাকাশিপাড়া থেকে কৃষ্ণ প্রামাণিক, উত্তরপাড়া থেকে সৌরভ রায়, ধনেখালী থেকে সজল দে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন।

রানীবাগ থেকে সুধীর মুর্মু, অন্ডাল থেকে নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায়, জামালপুর থেকে তরুন কান্তি মাঝি, মন্তেশ্বর থেকে আনসার আমন মন্ডল সিপিআইএমএলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নামছেন। স্বাভাবিকভাবেই সিপিএমের শরিক দল সিপিআইএমএল আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্টকে সমর্থন না করায় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। তবে এবার দেখার, সিপিআইএমএলের বার্তা অনুযায়ী সাধারণ মানুষ গেরুয়া শিবিরকে আটকাতে তৃণমূল এবং সংযুক্ত মোর্চার হাত ধরবে, নাকি এবারেই আসবে পরিবর্তনের নতুন বছর?

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!