এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > বাবুলের রাজনীতি ত্যাগের পেছনে একগুচ্ছ কারণ? উঠে এলো একাধিক তথ্য! জেনে নিন!

বাবুলের রাজনীতি ত্যাগের পেছনে একগুচ্ছ কারণ? উঠে এলো একাধিক তথ্য! জেনে নিন!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আর চার-পাঁচটা রাজনীতিবিদদের মত অত্যন্ত ভঙ্গুর পথ দিয়ে তাকে শীর্ষে পৌঁছতে হয়নি। বিখ্যাত গায়ক হিসেবে সংগীত জগতে অত্যন্ত খ্যাতিলাভ করার মাঝেই হঠাৎ করেই তিনি রাজনীতিতে পদার্পণ করেন। চোখে পড়ে যান ভারতবর্ষের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। 2014 সালে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি কেন্দ্রের ক্ষমতা দখল করার পর বাংলা থেকে দুজন সাংসদ গেরুয়া শিবিরের পক্ষে গিয়েছিল। আর সেই দু’জন সংসদের মধ্যে একজন ছিলেন আসানসোলের বাবুল সুপ্রিয়। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তৈরি হওয়ার পরেই স্পষ্ট হয়ে যায় বাবুল সুপ্রিয় কতটা গুরুত্ব পেতে চলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন প্রথম বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে বাংলা থেকে বেছে নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়।

পরবর্তীতে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে আবারও বাংলা থেকে 18 জন সাংসদ জয়লাভ করলেও, সেই বাবুল সুপ্রিয়কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেয় বিজেপি। তবে 2021 সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পর সেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বিদায় নিতে হয় বাবুল সুপ্রিয়কে। আর অত্যন্ত প্রশস্ত পথ দিয়ে রাজনীতির একদম উচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়ে যেভাবে তাকে একদম তলায় নামিয়ে দেওয়া হল, তাতে তিনি যে এই গোটা বিষয়টি খুব একটা ভালো ভাবে মেনে নিতে পারেননি, তা বোঝা যায় বাবুল সুপ্রিয়র আনাগোনার মধ্য দিয়েই। সেভাবে সক্রিয় থাকতে দেখা যাচ্ছিল না তাকে। অবশেষে শনিবার ফেসবুক পোস্ট করে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা জানিয়ে দেন আসানসোলের সাংসদ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, বাবুল সুপ্রিয়র মনে প্রথম আঘাত লাগে, যখন সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তাকে 2021 সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছিল। টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হলেও, সেখানে আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে প্রার্থী ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে জয়লাভ করতে পারেননি তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি আবার সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পদে ফিরে যান। কিন্তু এর পরেই তাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সম্প্রসারণ হলে সরিয়ে দেওয়া হয় বাবুল সুপ্রিয়কে। আর পরপর এই ঘটনা যে তার কাছে অত্যন্ত অপমানজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে,‌ আর সেই কারণেই যে তিনি এবার রাজনীতি ত্যাগ করছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

অনেকে আবার বলছেন, দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তার কিছুটা হলেও দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তাই এই সব মারপ্যাঁচ, জটিলতার মধ্যে না থেকে নিজেকেই রাজনীতি থেকে সরিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।বিশেষজ্ঞদের মতে, বাবুল সুপ্রিয় ফেসবুক একটি পোস্ট করেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তিনি তার ইস্তফা পত্র জমা দেননি। তাই এই বিষয়টি নিয়ে কিছুটা হলেও সন্দেহ রয়েছে।

তিনি আদৌ রাজনীতি থেকে সরে যাবেন, নাকি তার এই ফেসবুক পোস্টের পর তাকে বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে মান ভাঙানোর চেষ্টা করা হবে, তা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয়। তবে প্রথমে সাংসদ হয়েও বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা এবং তার পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া যে তার মনে অভিমানের জন্ম দিয়েছে এবং সেই কারণেই যে তিনি রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলছেন, সেই বিষয়ে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!