এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > নোবেলজয়ী অভিজিতের পরামর্শেই স্ট্র্যাটেজিতে বড়সড় বদল মমতার? জল্পনা বাড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী

নোবেলজয়ী অভিজিতের পরামর্শেই স্ট্র্যাটেজিতে বড়সড় বদল মমতার? জল্পনা বাড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী


আমপান এর জেরে বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গ। ক্ষতি হয়েছে অনেক মানুষের। আর সেই সব মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে, রাজ্যের ৫ লাখ আমফান আক্রান্ত পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পরিবারপিছু ২০,০০০ টাকা জমা দেওয়া হবে সাথেই তিনি ঘোষণা করেন যে, মনরেগা প্রকল্পের বকেয়া বেতন বাবদ প্রতি পরিবারকে ২৮,০০০ টাকা দেওয়া হবে। আর সবটাই মানুষের একাউন্টে পাঠানো হবে।যা নিয়ে প্রসংসার ঝড় উঠছে সর্বত্র।

অনেকেই তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন এমন অভাবনীয় ঘোষণা করা নিয়ে। বিরোধীদের অনেক আগে থেকেই দাবি ছিল যে, ত্রাণের টাকা সরাসরি মানুষের একাউন্টে দেওয়া হোক, নাহলে তা হাত বদলের জেরে গায়েব গায়েব হয়ে যাবে সাধারণ মানুষ পাবে না। আর এই নিয়েই তৃণমূলের মন্ত্রীর দাবি পশ্চিমবঙ্গের আমফান বিধ্বস্ত পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অর্থ ট্রান্সফার করার সিদ্ধান্তের পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভাব রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মেনেই এই কাজ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে রাজ্যের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী তথা শীর্ষস্থানীয় তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, ‘বেশ কিছু কাল যাবৎ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথাই বলছিলেন। এমনকি এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকেও তিনি অনুরূপ পরামর্শ দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পরামর্শ মেনে তা বাস্তবে প্রয়োগ করেছেন। কেন্দ্র ও অন্যান্য রাজ্যগুলিও এই পরামর্শ মানতে বাধ্য হবে, কারণ এটাই একমাত্র রাস্তা।’

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে নোবেল সম্মানে ভূষিত হন ভারতীয়-আমেরিকান অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে দরিদ্র নাগরিকদের হাতে নগদ দিতে হবে, মোদী সরকারকে এমনটাই পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।এছাড়া প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলোচনায় তিনি বলেছিলেন, ‘অর্থনীতির হাল ফেরাতে সবচেয়ে সহজ উপায় হল খরচের হার বাড়ানো। এর দ্বারা অর্থনীতি চাঙ্গা হয়।’

এদিকে করোনা সংক্রমণ অতিমারি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা কমিটির প্রধান হিসেবে এর আগেই অভিজিৎ বিনায়ককে বসিয়েছেন মমতা। আর তাঁর উপরে আস্থা রেখেই তাঁর পরামর্শ গ্রহণ করেছেন মমতা বান্দ্যোপাধ্যায় , এমনটাই মনে করছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থনীতি বিভাগের প্রধান মৌসুমি দত্তও।

এদিন তিনিও এই নিয়ে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই উদ্যোগ খুবই ভালো। যাঁরা দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের হাতে অর্থ আসা দরকার। নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন অর্থনীতিবিদ এই পরামর্শই দিয়ে আসছেন। যে হেতু রাজ্য সরকারের উপদেষ্টা কমিটির প্রধান অভিজিৎ স্বয়ং, সেই কারণে তাঁর পরামর্শ রাজ্য সরকার গ্রহণ করতেই পারে।’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!