এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > অভিষেকের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না? বিস্ফোরক তৃণমূলের তিন বহিস্কৃত প্রভাবশালী নেতা

অভিষেকের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না? বিস্ফোরক তৃণমূলের তিন বহিস্কৃত প্রভাবশালী নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই কড়া নাড়ছে আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসক দল তৃণমূল একদিকে যেমন নিজের সংগঠনকে মজবুত করছে, অন্যদিকে তেমনি দলে থাকা, অথচ অস্বচ্ছতার অভিযোগ অভিযুক্ত, কিংবা দলবিরোধী কাজ কর্মে লিপ্ত নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কখনো তাদের শো কজ় করা হচ্ছে। তাদের জবাব জেলা নেতৃত্বের কাছে সন্তোষজনক হলে, তাদের দলে রেখে দেয়া হচ্ছে। না হলে অনেক সময় দল থেকে বহিষ্কারও করা হচ্ছে তাদেরকে।

সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় চারজন তৃণমূল নেতাকে দুর্নীতি ও দল বিরোধী কাজ কর্মের অভিযোগে শোকজ করা হয়েছিল। যাঁদের মধ্যে আছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি সোনা পাল ও দেবাশিস মজুমদার, জনৈক তৃণমূল নেতা সুনির্মলজ্যোতি বিশ্বাস ও কুমারগঞ্জের যুব নেতা অভিষেক গুহ। এরপর গতকাল শনিবার দল থেকে বহিষ্কার করা হল তৃণমূল নেতা সোনা পাল, দেবাশিস মজুমদার, সুনির্মলজ্যোতি বিশ্বাসকে। কিন্তু একই অভিযোগ থাকলেও অভিষেক গুহকে করা হলো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা যুব তৃনমূল সহ-সভাপতি। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হলেন বহিস্কৃত তিন নেতা।

প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত তিন নেতার বিরুদ্ধে এভাবে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করায়, তাদের দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়ায় তারাও প্রচন্ডভাবে ক্ষুব্দ হলেন জেলা নেতৃত্বের প্রতি। বহিস্কৃত সোনা পাল ও দেবাশিস মজুমদার ছিলেন জেলা তৃণমূলের কার্যকারী সভাপতি। এর সঙ্গে সঙ্গেই সোনা পাল ছিলেন জেলা পরিষদের মেন্টর। হরিরামপুরের প্রভাবশালী নেতাও তিনি। পেশায় আইনজীবী তৃণমূল নেতা দেবাশিস মজুমদার ছিলেন সিডব্লিউসির চেয়ারম্যান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদের সকলের অভিযোগ একই কারণে এদেরকে যখন দল থেকে বহিষ্কার করা হল, অথচ এই অভিযোগ থাকলেও অভিষেক গুহকে কেন যুব তৃনমূলের জেলা সভাপতি করা হলো? দলের প্রতি তাঁদের প্রশ্ন, তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও, অভিষেকের বিরুদ্ধে কেন কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারল না দল? এ প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস জানালেন, ” অভিষেকের জবাব সন্তোষজনক হলেও এই তিন জন যথাযথ উত্তর দেননি, তাই বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের ভালর জন্যই শীর্ষ নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’

দল থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। বহিস্কৃত নেতা সোনা পাল জানালেন, ” আমাদের ছাড়া জেলায় তৃণমূল চলবে না। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে দল করি। এদের বহিষ্কার মানি না। বিষয়টা রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব।’’ বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা দেবাশিস মজুমদার বা দেবা জানালেন, ” আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বহিষ্কার করা হল। এখন যাঁরা জেলায় দল চালাচ্ছেন তাঁরা খাতায় কলমে তৃণমূলও নয়। আমি শো-কজ়ের জবাবেও লিখেছি, এঁদের নেতৃত্বে আমি দল করব না।’’ আবার বহিস্কৃত কুশমণ্ডির প্রভাবশালী নেতা সুনির্মলজ্যোতি বিশ্বাস জেলা নেতৃত্বের প্রতি জানালেন, ” জেলা সভাপতি গৌতম দাসের নামে মানহানির মামলা করব।’’ এভাবেই জেলা নেতৃত্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত সুনির্মলজ্যোতি বিশ্বাসের স্ত্রী সুনন্দা বিশ্বাস কুশমন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। আবার বহিস্কৃত সোনা পালের মেয়ে অলিভিয়া পাল জেলার একজন মহিলা তৃণমূল নেত্রী। যদিও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস জানালেন যে, এদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায়, এরা দলে যেমন ছিলেন তেমনই থাকবেন। এভাবেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শুদ্ধিকরণের কাজ চলছে শাসকদল তৃণমূলে। যার ফলে বহিস্কৃত নেতারা দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!