প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে জেপি নাড্ডার কনভয় হামলার ঘটনায় রাজ্যপালের সাথে দেখা করতে যেতে দেখা গেছে তাঁদের। আর এদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করে রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন সৌমিত্র খাঁ।

এদিন বিজেপির যুব মোর্চা সভাপতি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলই জড়িত আছে বলে দাবি করেন। তাঁর কথায়, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে এসব কাজ করছেন।” এদিন তিনি বলেন, “অভিষেক ব্যানার্জি বাচ্চা ছেলের মত কাজ করছে। আমরা তাকে কালিঘাট থেকে বের হতে দেবো না অবরুদ্ধ করে রাখবো”।

শুধু তাই নয়, অভিষেক ব্যানার্জীকে কটাক্ষ করে “কোলের ছেলের রাজনীতি করতে নেমেছে” বলে আক্রমণ করেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, “অভিষেক ব্যানার্জি এসপিকে সঙ্গে নিয়ে, দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে যে অন্যায় করলেন তা আমরা প্রতি মুহূর্তে লক্ষ্য রাখছি আমরা ঠিক তার পাল্টা সময়মতো দিয়ে দেব।”

ইতিমধ্যেই জেপি‌ নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি সারা রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ দেখায়। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তারা অবরোধ করে বলেও জানা যায়। আবার অন্যদিকে বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডার গাড়ির উপর হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন বলেও জানা গেছে।

অন্যদিকে ইতিমধ্যেই দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে সরাসরি হুমকি দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “আমি বলছি পেটান, ততটাই পেটান যতটা পরে সহ্য করতে পারবেন। লাল ডায়েরিতে সব লিখে রাখছি। সুদ সমেত ফেরত দেব আমরা। বদল হবে, বদলাও হবে।”

বস্তুত, সেদিনের ঘটনায় একের পর এক গাড়িতে বেপরোয়াভাবে ভাঙচুর চালানোর সঙ্গে সঙ্গে কাচের বোতলের টুকরো লেগে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী জখম হয়েছেন বলেও জানা যায়। সেইসঙ্গে, সংবাদমাধ্যমের গাড়িতেও ভাঙচুর চলে। রাস্তার দুপাস থেকে উড়ে আসা ইটের ঘায়ে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের গাড়ির কাচও ভেঙে যায় বলেও জানা গেছে।