এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অভিষেককে ভবিষ্যৎ মুখ্যমন্ত্রী ঘোষনা করেই কি কাল হলো, ব্যানার্জী পরিবারে লাগলো কোন্দল?

অভিষেককে ভবিষ্যৎ মুখ্যমন্ত্রী ঘোষনা করেই কি কাল হলো, ব্যানার্জী পরিবারে লাগলো কোন্দল?

তড়িঘড়ি ভবিষ্যৎ মুখ অভিষেক কে করা ই কি শেষ পর্যন্ত কাল হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের! সম্প্রতি একটি হ্যান্ড আউটকে কেন্দ্র করে রিতীমত দ্বিধাবিভক্ত মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার এমনটাই দাবি কলকাতার এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের । তাদের দাবি অনুযায়ী , রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সোচ্চার হয়েছে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইয়ের একটি সংগঠন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারনা, সম্প্রতি ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দলের ভবিষ্যৎ মুখ বলে স্পষ্ট করেছেন তৃনমূল নেত্রী। তাহলে কি পরোক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর ভাই তাঁর এই সংগঠনের এই হ্যান্ড আউট এর মধ্যে দিয়ে বোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই খোচা দিলেন! এইরকমই নানা জল্পনায় এক নতুন সমীকরনের ইঙ্গিত পাচ্ছেন অনেকেই।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

সূত্রে খবর, সম্প্রতি “বিবেক” নামে এক সংস্থা একটি বিতর্কসভার আয়োজন করেছিল। যার বিষয় ছিল- “পরিবারতন্ত্র না গনতন্ত্র – কোথায় দাড়িয়ে আমরা”। জানা যায়, “বিবেক” নামে এই সংস্থার মাথায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীরই ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। এতপর্যন্ত সবই ঠিকঠাক ছিল। গন্ডোগোল বাধল এই “বিবেক” থেকেই প্রকাশিত একটি হ্যান্ড আউটকে ঘিরে। কিন্তু কি আছে সেই হ্যান্ড আউটে! সূত্রের খবর, রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে মত দিয়ে সেখানে লেখা হয়েছে, “গতকাল যাঁকে রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি, আজ সেই রাজনীতির শীর্ষস্থানে চলে গেছে।” অনেকের ধারনা, তৃনমূলে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরই শেষ কথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! তাহলে কি অফিষেককে নিশানা করেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের নেতৃত্বাধীন “বিবেক” এর এই বিতর্কসভা! হ্যান্ড আঊটে আরও লেখা আছে যে, ” স্বাধীনতার অন্যতম শর্ত অনুযায়ী সামন্ত্রতান্ত্রিক থেকে গনতান্ত্রিক প্রথায় ফেরার কথা বলা হলেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন
ভাবে আমাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেই ফ্যাসিস্ট ও পরিবার শাসনের মধ্যে।” সমালোচকদের দাবি, ” বিবেক” এর এই যুক্তি তৃনমূলের পক্ষেও খাটে। তবে ‘বিবেক’ এ তৃনমৃলকে সেইভাবে কোনো আক্রমন করা হয়নি। লালু প্রসাদ যাদব,মুলায়ম সিং যাদবের দলে পরিবারতন্ত্রের উল্লেখ করলেও সেখানে একবারও উচ্চারিত হয়নি তৃনমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তবে তৃনমূলের একাংশ মনে করছেন, ঠিক যখনই ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের রাশ তুলে দেওয়ার কথা ভাবছেন মুখ্যমন্ত্রী, ঠিক তখনই তারই ভাইয়ের নেতৃত্বাধীন “বিবেক” নামক একটি সংস্থার তরফে এমন নিবন্ধে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। “বিবেক” প্রকাশিত এই নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে যে, “রাজনৈতিক নেতারা এখন সমষ্টির স্বার্থে নয়, ব্যাক্তি ও পরিবারের স্বার্থে কাজ করেন। মানুষের স্বার্থের কথা বলেন ঠিকই, তবে তা শুধুই মানুষকে বোকা বানানোরই জন্য।” এই সব রাজনৈতিক পরিবারকে ভোট না দেওয়ারও আবেদন জানানো হয়েছে এই নিবন্ধতে। তবে এই হ্যান্ড আউট সম্পর্কে যে তিনি সম্পূর্ন একমত তা সম্প্রতি এক বাংলা টিভিচ্যানেলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই তথা ” বিবেক” এর আহ্বায়ক কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রে এও জানা যায়, এই সংস্থার চেয়ারম্যান হলেন তৃনমূল সাংসদ সৌগত রায়। তবে এই হ্যান্ড আউট যেদিন প্রকাশিত হয়েছিল সে দিন কোলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলেও তাঁর তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে সব মিলিয়ে এই “বিবেক” নিয়ে তীব্র যন্ত্রনা তৃনমূল পরিবারে। প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই পোর্টালে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!