অভিষেকের সামনেই নেত্রীর কাছে নালিশ বিধায়কদের, ভাইপোর রাশ টেনে ক্ষোভ মেটাতে মাঠে নামলেন নেত্রী কলকাতা রাজ্য June 6, 2019 এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অত্যন্ত খারাপ ফল হয়েছে। একদিকে বিজেপির প্রবল উত্থান, আর অন্যদিকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফসল এবার গেরুয়া শিবির তাদের ঝুলিতে পুরেছে বলে দাবি করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। অনেকেই মনে করেন, তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বময় নেত্রী। কিন্তু তিনি যেভাবে তড়িৎগতিতে তারই ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যুব তৃনমূলের শীর্ষ পদে বসিয়ে দলে পরিবারতন্ত্রের সৃষ্টি করেছেন, তা মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান এরপরই জেলায় জেলায় যুব তৃনমূলের সাথে তৃণমূলের মূল সংগঠনের লড়াই অস্বস্তিতে ফেলেছে দলকে। আর এবার এই ব্যাপারেই নবান্নের সভাগৃহে দলীয় বিধায়ক, সাংসদ এবং মন্ত্রীদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে দলের একাংশ বিধায়ক প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে ডায়মন্ডহারবারের তৃনমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, “দিদি আমরা সম্মানের সঙ্গে দল করতে চাই। আমরা কি রাজনীতি করতে পারব না! পুরনো লোকেরা কি সম্মান পাবে না! আপনি এই ব্যবস্থা করে দিন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে এই ঘটনার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু বলার আগেই দীপকবাবুকে উদ্দেশ্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তুমি তোমার যা বক্তব্য, তা আমাকে লিখে জানাও।” এদিকে নিজের এলাকার সমস্যা নিয়ে এদিন প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, “আমার এলাকায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতাকে বহিষ্কার করা হল, অথচ আমিই জানলাম না। স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে আমার কি তা জানার কথা নয়! সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানতে পারছে না, তাদের অন্ধকারে রেখেই বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলছে।” তবে এদিনের বৈঠকে কোনোরূপ মন্তব্য করতে দেখা যায়নি রাজারহাট নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্তকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান হওয়ার পরই জেলায় জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। যা রোধ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে শাসক দলকে। এমনকি বিভিন্ন নির্বাচনে বিরোধী অপেক্ষা শাসক বনাম শাসকের লড়াই প্রত্যক্ষ করেছে বঙ্গবাসী। আর এবারের লোকসভা নির্বাচনেও তার কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে। আর তাইতো দলের এই দুর্দিনে পুরনো কর্মীরা যাতে সম্মানের সঙ্গে দল করতে পারে, সেই ব্যাপারে নাম না করলেও পরোক্ষে দলের নব্য নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই কি সুর চড়ালেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক! তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যদিও বা এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার। আপনার মতামত জানান -