লোকসভা ভোটে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ অভিষেক ব্যানার্জীর কলকাতা জাতীয় রাজ্য March 17, 2019 লোকসভা নির্বাচনের দামামা ইতিমধ্যেই বেজে গেছে। গত মঙ্গলবার কালীঘাটের বাসভবন থেকে রাজ্যের 42 টি কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সেইভাবে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রচারে নামতে দেখা না গেলেও অবশেষে শুক্রবার বাঁকুড়া জেলার দুই লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে শুক্রবার সোনামুখী রামপুরের দলীয় কর্মী সভায় উপস্থিত হন সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই একদিকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার দুই লোকসভা কেন্দ্র থেকে যাতে বিপুল পরিমাণ লিড দিয়ে দলীয় প্রার্থীদেরকে জেতানো যায় সেই ব্যাপারে যেমন দলের কর্মী-সমর্থকদের নির্দেশ দিলেন তিনি, ঠিক তেমনই বিরোধী দল বিজেপির উদ্দেশ্য তীব্র কটাক্ষ শানাতে দেখা গেল যুব তৃনমূলের এই সর্বভারতীয় সভাপতিকে। এদিন এই সভায় উপস্থিত হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভারতের জওয়ানরা সীমান্তে লড়াই করে দেশের মাটিতে তেরেঙ্গা গেঁথে বিজয়কেতন ওড়ান, সেই রকমই আমাদের দলের সৈনিকদের মাটি আঁকড়ে রাজনৈতিক লড়াই করতে হবে। লুটেরাদের বাংলায় এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া যাবে না। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কমপক্ষে 30 হাজার লিড চাই।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে কিছুদিন আগেই বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিজেপিতে যোগদান করলে এদিন সেই বিদায়ী সংসদ সৌমিত্র খাঁকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিষ্ণুপুরের সাড়ে সাত কোটি টাকা এখনও পড়ে রয়েছে। আর উনি দিল্লীতে বসে রয়েছেন। বিষ্ণুপুরের মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে।” অন্যদিকে বাম ও কংগ্রেসের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জোট নিয়েও আক্রমণ শানাতে দেখা যায় যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে। তিনি বলেন, “2016 সালে জোট করা যে ঠিক ছিল না তা তিন বছর পরে আজও সূর্যবাবু অধীরবাবুরা বুঝতে পারছেন না। দুই দলের কেরলে একরকম, আর দিল্লিতে আর একরকম অবস্থান। আর বাংলায় এরা দিশাহীন জোট করে মানুষকে ভাওতা দিচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে ভোটের জন্য কখনো ভাওতা দেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আজকে সারা রাজ্যের মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে যাচ্ছে।” আর এরপরই 80 বছর আগের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা করে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যাতে 42 এ 42 টি আসনই যাতে তৃণমূলের দখলে রাখা যায় তার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে এবার বাঁকুড়া জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে এসে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের জয় ধরে রাখতে নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের মন জয়ের মরিয়া চেষ্টা করলেন যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনার মতামত জানান -