এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > দেশের বৃহত্তম ছাত্র জমায়েতের রেকর্ড গড়তে চায় তৃণমূল, দায়িত্ত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

দেশের বৃহত্তম ছাত্র জমায়েতের রেকর্ড গড়তে চায় তৃণমূল, দায়িত্ত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়


গতবছরের মতো এবছরও টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ছাত্র জমায়েত করে সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করেছে রাজ্যের শাসকদল। ২৮ আগষ্ট মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আয়োজন করা হয়েছে জনসভার। পরিচালনার দায়িত্বে রেয়েছেন যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । বরাবরের মতো নেপথ্যে থেকে অভিভাবকের কাজ করবেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যসভাপতি সুব্রত বক্সি-র মতো নেতারা। আর প্রধান বক্তার ভূমিকায় অবশ্যই রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান পরিচালনায় তৃণমূলের বাঘা বাঘা নেতৃত্বরা তদারকি করলেও ২১ জুলাই-এর বার্ষিক স্মরণসভার অনুসরণে মূল দায়িত্ব কিন্তু সপে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল যুব কংগ্রেসকে। ৪২ টি লোকসভা আসনের সবকটিতে জয় লক্ষ্যমাত্রায় পৌছাতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সাংগঠনিক প্রভাবের প্রদর্শন করতেই এই ছাত্র সমাবেশ বাড়তি মাত্রা যোগ করতে চলেছে।

বলাবাহুল্য,এই মুহূর্তে সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের বৃহত্তর শক্তি। এছাড়া রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর লাগামও রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি)-র হাতে। সমস্ত ছাত্র সংসদেই আধিপত্য বিস্তার করেছে  টিএমসিপি। সাড়ে তিন দশক ধরে রাজত্ব করলেও এই জায়গা তৈরি করতে কার্যত ব্যর্থ বামেরা। বর্তমানের মুখ্যমন্ত্রী নিজে রাজ্যের উন্নয়নকল্পের ছাত্রসমাজকে সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতিতে জায়গা করে নিতে টিএমসিপি-র অবদান যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে এর আভাস এখন থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। আগামী বছরের গোড়ার দিকেই লোকসভা ভোট হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।  তার আগে এটাই শেষ ছাত্র সমাবেশ। কাজেই টিএমসিপি-প্রতিষ্ঠা দিবস পালন কতোটা তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে তৃণমূলের কাছে তা বোঝাই যাচ্ছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য,বামজমানায় এরকম বৃহত্তর ছাত্র সমাবেশের সাক্ষী থাকেনি রাজ্য,দাবী তৃণমূলের। এছাড়া জাতীয় স্তরেও এসএফআইের ছাত্র সংগঠনের অস্তিত্বের বিক্ষিপ্ত নজির দেখা গিয়েছিল বাংলা কেরল,ত্রিপুরা সং দক্ষিণ ও উত্তর ভারতে। আর বামেরা এ রাজ্যের শাসনভার থেকে মুক্ত হওয়ার পরই  বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের হদিশই নেই কোনো। বামেদের বিকল্প হিসাবে রাজ্যে রাজনৈতিক সংখ্যাগরিষ্ঠ শক্তি হিসাবে বিজেপির উত্থান হলেও ছাত্র সমাজে এখনো সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি মোদীসরকারের অনুগত এবিভিপি। তাই বামেদের পাশাপাশি পদ্মশিবিরকে রুখতেও রাজ্যের শাসকদলের কাছে টিএমসিপির ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই ছাত্র সমাজকে সামনে রেখেই দেশে বৃহত্তম ছাত্র সমাবেশের আয়োজনের ডাক দিল তৃণমূল। হোডিংয়েও এবার বেনজির ভাবে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আপাতত,২৮ এর অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে ব্যাপক কর্মতৎপরতা রয়েছে দলীয় অন্দরে,জানাচ্ছে রাজনৈতিক সূত্রের খবর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!