এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অভিষেককে পাশে নিয়ে এবার সরাসরি মাঠে নেমে পড়লেন প্রশান্ত কিশোর

অভিষেককে পাশে নিয়ে এবার সরাসরি মাঠে নেমে পড়লেন প্রশান্ত কিশোর


লোকসভা নির্বাচনে এবার তৃণমূল 42 এ 42 এর ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু তার সেই স্লোগান বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। উল্টে 22 টা আসন পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। অন্যদিকে 18 টা আসন পেয়েই রীতিমতো তৃণমূলের ঘর ভাঙতে শুরু করেছে বিজেপি। আর এরপরই কিভাবে দলের গ্রহণযোগ্যতা মানুষের কাছে বাড়ানো যায় তা নিয়ে নানা আলোচনা শুরু করে তৃণমূল।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে পরিচিত প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করে রাজ্যের শাসক দল। আর এরপরই তৃণমূলকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য ঘাসফুল শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বকে একাধিক নির্দেশ দেন সেই প্রশান্ত কিশোর। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক করেছেন তিনি। আর এবার তৃণমূলের সমস্ত জেলা নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রশান্ত কিশোর।

সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুরে কালীঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে আড়াই ঘণ্টা ধরে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি ছাড়াও তৃণমূলের সকল জেলার সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। আর এই বৈঠকেই দলের নেতৃত্বকে একগুচ্ছ নির্দেশ দেন প্রশান্ত কিশোর।

জানা গেছে, বুথ স্তর থেকে যাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সমস্ত তথ্য আসে, তার জন্য প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র পিছু 15 জন উপযুক্ত কর্মী বাছাই করার নির্দেশ দিয়েছেন ভোটগুরু। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের বিধায়কদের নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে আরও বেশি করে জনসংযোগ করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এদিন সকল জেলা সভাপতির সঙ্গে মতামত বিনিময় করতেও দেখা যায় প্রশান্ত কিশোরকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নেই। পরিস্থিতি বদল করে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। তৃণমূলের হাতে আরও এক বছরের বেশি সময় রয়েছে।” কিন্তু প্রতি বুথ পিছু জনমত যাচাইয়ের জন্য যে 15 জনকে বেছে নেওয়ার কথা বলেছেন ভোটগুরু, তাতে কি আদৌ দলের সংগঠনের হাল ফেরানো যাবে! এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক জেলা সভাপতি বলেন, “এই 15 দলের প্রয়োজন মত তথ্য সংগ্রহ করে জেলা নেতৃত্বকে জানাবেন।”

অন্যদিকে এতদিন তৃণমূল নেতৃত্ব বিরোধীশূন্য করার কথা বললেও এদিন তাদের গলায় এই ব্যাপারে শোনা গিয়েছে মৃদু সুর। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক জেলা সভাপতি বলেন, “বিরোধীদের জায়গা দিলে তাদের শক্তি বোঝা যাবে। একই সঙ্গে বিরোধী ভোট ভাগের সম্ভাবনাও তৈরি করা যাবে। আর তাই দল এটা চাইছে।”

অন্যদিকে কোথাও কোনো সংঘর্ষ সৃষ্টি হলে তার সঙ্গে যাতে শাসক দলের কোনো নেতা জড়িত না থাকে, এদিন সেই ব্যাপারেও বৈঠকে সকলকে সতর্ক করে দেওয়া হয় বলে খবর। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে ঘুরে দাঁড় করানোই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ।

আর তাইতো বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন রাজ্যে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে জয়লাভ করানো প্রশান্ত কিশোরকে এনে বিভিন্ন জেলার নেতৃত্বদের পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি। কিন্তু ভোটগুরু তৃণমূলের জেলার নেতৃত্বকে এই ধরনের নির্দেশ দিলেও, তা আদৌ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সুষ্ঠভাবে পালন করতে পারবেন কিনা! এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!