এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > ভোট ভাঙার সুড়সুড়ি নয়, কাজের নিরিখে তৃণমূলের মোকাবিলা করুন – বিজেপিকে অভিষেক

ভোট ভাঙার সুড়সুড়ি নয়, কাজের নিরিখে তৃণমূলের মোকাবিলা করুন – বিজেপিকে অভিষেক


লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি পর্বে ফের বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় পাওয়া গেল ডায়মন্ড-হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন বিকালে বিষ্ণুপুর-২ ব্লকের বিদ্যানগর কলেজ ময়দানে আয়োজিত জনসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন অভিষেক।

নতুন জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর সামনেই রাজ্যবিজেপিকে নিশানা করে অভিষেক বলেন,”আড়ালে আবডালে ভেদাভেদের সুড়সুড়ি দিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু ভোট ভাঙার খেলায় তাতে লাভ হবে না। বরং সাহস থাকলে রাজনৈতিকভাবে কাজের নিরিখে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে মোকাবিলা করুন।” শুধু তাই নয়,রাজ্য বিজেপি দিলীপ ঘোষের নাম প্রকাশ্য জনসভায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দিলীপ বাবু এই বিষ্ণুপুরে সভা করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃনমূলের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করে গিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, (বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ) বিভেদের রাজনীতিকে উস্কে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী উদার তাই দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কোনো আইনি স্টেপ নেননি তিনি। কিন্তু তাঁর অনুরাগীরা ক্ষমা করবে না দিলীপ ঘোষকে। মঞ্চ থেকেই রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বললেন,”সাহস থাকলে ও বাপের ব্যাটা হলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকে দাঁড়ান”। আগামী লোকসভা ভোটই প্রমাণ দিয়ে দেবে কার শক্তি কতোটা!

এর পাশাপাশি, এটাও স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করলেন যে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি একটা আসনে জিতলেও তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে নেবেন। তবে দলীপ ঘোষ হেরে গেলে তাঁকেও সেক্ষেত্রে রাজনীতি থেকে নির্বাসন নিতে হবে – এমনটাও দাবী তাঁর এবং এটাও জোর গলায় মঞ্চ থেকে বলেন, সৎ সাহস থাকলে দিলীপ ঘোষ যেন এই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করে দেখান। তবে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে আগাম জানিয়েও দিলেন, ডায়মন্ড-হারবার কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষ ভোটে দাঁড়ালে এখানকার মানুষই রাজ্য বিজেপিকে যথাযোগ্য জব্দ করবে, এমনটাই বিশ্বাস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

শুধু রাজ্য বিজেপি সভাপতি নন, সংসদ সদস্যের তোপের নিশানায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সমালোচনা থেকে বাদ যাননি জাতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও। তিনি বলেন, বিজেপি প্ল্যান করে বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি চালাচ্ছে। তবে এ রাজ্যে যে বিজেপির অস্তিত্ব বিপন্ন করে দেবে তৃণমূল, সেটাও জানিয়ে দিলেন তিনি। আগুন নিয়ে খেললে তার পরিনতি যে ভয়ংকর হবে, সেটা আগামী লোকসভা ভোটেই বিজেপিকে বুঝিয়ে দেবে তৃণমূল – এমনটাই বক্তব্য তাঁর।

বিজেপিকে আক্রমণ করার পাশাপাশি গোটা ডায়মন্ড-হারবার কেন্দ্রে তৃণমূলের সৌজন্যে কী কী উন্নয়নমূলক কর্মসূচি হয়েছে,তার খতিয়ানও তুলে ধরলেন তিনি এদিন। তিনি জানান, তৃণমূল সরকার বাংলায় ক্ষমতায় এসে যা উন্নয়নমূলক কাজ করেছে – সে কাজ করার সাধ্য বিজেপির নেই। প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে গুজব ছড়িয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী লোকসভা ভোটে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকে আর লড়বেন না। কারণ গত পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং তাঁর পরবর্তী সময়ে দলের কাজকর্ম নিয়ে সন্তুষ্ট নয় স্থানীয়রা – এমনটাই শোনা গিয়েছিল।

ফলত যুব তৃণমূল নেতার পক্ষে এই কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ানো নিরাপদ নয় – এমনটাই মনে করেছিল অভিজ্ঞমহল। কলকাতার কোনো এক কেন্দ্র থেকে তিনি দাঁড়াবেন – এমনটাই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। তবে এই জল্পনা যে সম্পূর্ণ ভুয়ো সেটাই এদিন দিলীপ বাবুকে লোকসভা ভোট যুদ্ধের জন্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন সংসদ সদস্য।

অন্যদিকে, জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য, যুবকদের কাছে এখন একটাই নাম – অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রাজ্যস্তরে একজনই নেত্রী – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজেই বিজেপির কোনো ক্ষমতাই তৈরি হয় নি যাতে বঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে টেক্কা দেবে। তৃনমূলের এই চাঁচাছোলা আক্রমণের প্রতিক্রিয়া এখনে বিজেপির তরফ থেকে আসেনি। তবে দিলীপ বাবু নিজস্ব স্টাইলে তৃণমূলকে এর যোগ্য জবাব দেবেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!