এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার নাম না করে অভিষেকের গায়ে দুর্নীতির দাগ লাগলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, জোর শোরগোল !

এবার নাম না করে অভিষেকের গায়ে দুর্নীতির দাগ লাগলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, জোর শোরগোল !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। লকডাউনকে উপেক্ষা করে এখন ধীরে ধীরে সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে নামতে শুরু করেছে সকল রাজনৈতিক দল। ইতিমধ্যেই ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে অমিত শাহ বাংলার বিজেপি নেতা কর্মীদের বার্তা দিয়ে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির নেতা থেকে শুরু করে সাংসদ, প্রত্যেকে ময়দানে নেমে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করছেন। আর এবার ভার্চুয়াল সভা থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান তৃণমূল কংগ্রেস, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে রীতিমতো শোরগোল তুলে দিলেন।

যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততাকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিয়ে তৃণমূলকে ব্যাপক কোণঠাসা করলেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পরিযায়ী শ্রমিক থেকে শুরু করে রাজ্যের সিন্ডিকেট রাজ, বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করে এদিন তৃণমূল সরকারের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেন তিনি। সূত্রের খবর, এদিন মেদিনীপুর এবং হাওড়া জোনে ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান‌।

আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “25 মে আমপান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে 24 ঘন্টার মধ্যে হাজার কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গের জন্য সাহায্য করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি কথা দিয়ে কথা রেখেছিলেন। কেন্দ্রীয় দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখে রিপোর্ট দেবে বলেও জানিয়ে দেন মোদীজি। অথচ এই রাজ্যে করোনার সময় চাল ও কেন্দ্রীয় সাহায্য নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে।কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ‘দিদি’-র উদ্দেশে বলেন, ‘এখানে শুধু তৃণমূল কর্মীদের সমস্যা আর সিন্ডিকেট রাজ চলে। দিল্লি থেকে মোদীজির পাঠানো বাংলার জনগণের জন্য টাকা-পয়সা সিন্ডিকেট ও ভাইপোর মাধ্যমে লুঠ করা হয়। এসব বেশি দিন চলবে না। ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার জবাব পেয়েছেন ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে। এই অত্যাচারের জবাব মিলবে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে।” অর্থাৎ বিজেপির এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কংগ্রেসকে সিন্ডিকেট নিয়ে নাম না করে ভাইপো বলে কটাক্ষ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই এটা বুঝতে বাকি নেই যে, বঙ্গ বিজেপি বর্তমানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি দুর্নীতি নিয়ে সরব হচ্ছে। আর ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে সেই একই কথা বলে রাজ্যের শাসক দলকে দুর্নীতির জন্য কটাক্ষ করে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়ে রীতিমতো শোরগোল তুলে দিলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়েও রাজ্যের বঞ্চনার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী‌।

তিনি বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি রাজ্য সরকার অবিচার করেছেন। শ্রমিকরা বাংলায় ফিরতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্য আপত্তি জানিয়ে অমানবিক কাজ করেছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা ক্ষমা করবেন না।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতদিন এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ বাড়তে শুরু করেছে। সামনে বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন বিজেপি ময়দানে নেমে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করছে।

আর তারই অঙ্গ হিসেবে লকডাউনের কারণে ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে এবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রীরা ময়দানে নেমে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি দ্বিগুণ পরিমাণে বাড়িয়ে দিচ্ছেন। যার ফলস্বরুপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের শ্নের মুখে পড়তে হল। তবে যেভাবে অতীতেও বিজেপির প্রশ্নের মুখে পড়ে তার পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃনমূল কংগ্রেস, তাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মেন্দ্র প্রধানের এই বক্তব্যের পাল্টা কোনো জবাব দেন কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!