প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী সরকারের দুঃসম্পর্কের কথা কারো অজানা নয়। নানা প্রকল্প থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক দাবি-দাওয়া বিভিন্ন বিষয়ে তৃণমূল সরকার এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মধ্যে নানা দ্বৈরথ প্রকাশ্যে এসেছে। লকডাউনের মুহূর্তেও তা বাদ থাকেনি। এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের তরফে প্রকল্প ঘোষণা করা হলেও তার থেকে বাংলার নাম বাদ থাকায় রীতিমতো সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস।

জানা গেছে, গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য “গরিব কল্যান রোজগার অভিযান” প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। যে প্রকল্পের সুবিধা পাবে ভারতবর্ষের ছয়টি রাজ্য। কিন্তু সেই রাজ্যের তালিকায় বাংলা নেই। এদিন সেই প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন ট্যুইটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলায় ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিককে এভাবে উপেক্ষা করলেন কেন প্রধানমন্ত্রী? গরিব কল্যান রোজগার অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের নাম নেই কেন? বাংলার মানুষদের কেন তিনি এত উপেক্ষা করছেন!”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্য করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে যেমন কটাক্ষ করলেন, ঠিক তেমনই বাংলার মানুষের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন যে, বিজেপি মুখে যতই বলুক না কেন, তারা সব সময় বাংলার প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। তবে অনেকে বলছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য শুধুই বিজেপি বিরোধিতার জন্য। কেননা অতীতেও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বহু প্রকল্প চালু করা হলেও, রাজ্য সরকার তা বাংলার মাটিতে প্রয়োগ করতে চায়নি।

এক্ষেত্রে আয়ুষ্মান ভারতের মত নানা প্রকল্প রয়েছে, যা কেন্দ্র বাংলায় চালু করতে চাইলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তার বিরোধিতা করেছে বলে অভিযোগ। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিরোধিতা সত্যিই কাজে দেবে না বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। অনেকে এটাও বলেছেন যে, কিছুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সের এক বৈঠকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বলেছিলেন, কেন্দ্র যদি তাদের সাহায্য না করে, তাহলে লাগবে না কোনো সাহায্য। বাংলা কারো ভিক্ষায় চলে না।

সেক্ষেত্রে যদি কেন্দ্র পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করার তালিকায় বাংলার নাম না রাখে, তাহলে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পক্ষ থেকে সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্য পাল্টা কোনো প্রকল্প করা হচ্ছে না! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে এবার কেন্দ্র-রাজ্য দ্বৈরথ ঠিক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।