এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উপচে পড়ছে শাসকদলে! পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে স্বয়ং অভিষেক!

হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উপচে পড়ছে শাসকদলে! পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে স্বয়ং অভিষেক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সম্প্রতি তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে বেশকিছু জেলাতে তৃণমূল নেতৃত্ব পরিবর্তন আনলেও, হুগলি জেলার ক্ষেত্রে সভাপতি দিলীপ যাদবের ওপরেই ভরসা রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ফের সভাপতি পদে দিলীপ যাদব পুনর্বহাল হলেও, তাকে নিয়ে দিনকে দিন সমস্যা তৈরি হচ্ছে হুগলি জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে উপস্থিত হয়েছে যে, জেলার একাধিক বিধায়ক নিজেদের মত করে গোপনে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে গোষ্ঠী তৈরি করতে এবং বৈঠক করতে ব্যস্ত রয়েছেন।

স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন, তখন জেলার এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে শাসক শিবিরের। তবে এইভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনে যে প্রভূত সমস্যা হতে পারে, তা আঁচ করেই এবার হুগলি জেলায় এই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কলকাতায় হুগলি জেলা তৃণমূলের নেতৃত্বদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন অভিষেকবাবু। জানা গেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠক করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সদ্য নিযুক্ত এক কো অর্ডিনেটর এবং দলের বিধায়ক। অন্যদিকে আজ শুক্রবার চুঁচুড়ায় সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্বাবধানে বিধায়কদের নিয়ে আবার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই হুগলি জেলা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব যে প্রবলভাবে চিন্তিত, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আটটায় পরিস্থিতি সামাল দিতে বৃহস্পতিবার জেলার বেশকিছু নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছে একাংশ। কিন্তু আদৌ কি সমস্যার সমাধান হল?

এদিন এই প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে এসে উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বলেন, “বৈঠক প্রসঙ্গে কিছু বলা উচিত হবে না। তবে দলের সুপ্রিমো সমস্ত বিষয় জানেন। অভিষেক আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন। তাকে সাংগঠনিক সমস্যার সমস্ত কিছু খুলে বলেছি।” কিন্তু তাকে নিয়ে যে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে, তাতে তিনি তো কার্যত কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “দলনেত্রীর দেখানো পথেই সংগঠনের কাজ করেছি। দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। তাই ব্যক্তি নয়, দলের স্বার্থে কাজ করব। অন্য কোনো বিষয়ে মন্তব্য করব না।” তবে হুগলি জেলাকে নিয়ে যে সমস্যা চলছে, তার সমাধান করতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব এই পদ্ধতি অবলম্বন করলেও, তা কতটা ফলপ্রসু হয় এবং কবে সমস্যা মেটে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!